(((গ্রামের দিকে যারা থাকেন তারা হয়তো সহমত হবেন যে তালগাছ লোকালয় ( সাধারণত বাস্তুভিটা) থেকে একটু দূরেই হয়। সেটা হয় ভূত বাবাজির ভয়ে,নয়তো মস্তক বা পৃষ্ঠদেশে পতনের হাত থেকে বাঁচবার জন্য।তাই বাড়ির আশেপাশে আম,জাম,কাঁঠালের গাছ পাওয়া গেলেও তালগাছ পাওয়া দুরুহ।বছরভর তার অবশ্য কোনো খোঁজ পড়ে না,কিন্তু এখনটা তার ভারী কদর।
তবে কুড়োতে যাই তো কি করে যাই? বন জঙ্গলে ছেয়ে সে রাস্তা হয়ে গেছে আমাজন,বৃষ্টিও করেছে ষোলো কলা পূর্ণ, অথচ একটি না হলেই নয়,মনে হলো তালগাছের ভূতটা আমার মাথায় চেপেছে।আমিও ছুটলাম,কুড়োলামও দুই খানা ,মনে হলো পূর্ব পুরুষদের বসানো গাছটা,খুব আহামরি কিছু না,তবুও মনটা ভরে গেল এক ফুরফুরে আনন্দে।)


সরল সিধে জীবনখানি
অন্যরকম মজা।
ভাদ্দরের ফল যেমন
তালের খবর খোঁজা।
কোন সে বছর শ্রাবণ শেষেও
অঝোর ধারে বৃষ্টি
মন উচাটন,জল বাড়ছে
একি অনাসৃষ্টি।
এমনি হলে কেমন করে
সে পথ দিয়ে হাঁটি?
সর্বনেশে ভূত করেছে
তাল খাওয়াটাই মাটি।
একটিমাত্র গাছ,
খালপাড়ের ধারে
কেই বা যায় সে পথ দিয়ে
বছরখানেক পরে।
রাতের বেলা ঢিপ-ঢাপ ওই
পড়ল বুঝি চার-তিন-দুই
স্বাদ যে বাড়ে মিঠে তালের এমনি অপেক্ষায়।
কাল সকালে যাবই যাব
দেখি কে আটকায়!!


(*আসলে এই কবিতাটি লেখার আগে অগোছালো কিছু লিখেছিলাম,সেটাও দিলাম(কবিতার আগে ও পরে)। আমাদের এদিকটায় আগে অনেক তালগাছ ছিল,বিভিন্ন কারণে এখন আর নেই। এরকম আরও জিনিস আছে যা এখন আর চোখে পড়ে না,যেমন শাপলা হতো এই সময়টায় মাঠ ভরে,আর শালুকের স্বাদ তো এখন ভুলেই গেছি। ছেলেবেলায় শাপলার মালা বানিয়ে খেলতাম।এখন মানুষের খুশির উপকরণ গুলো বদলে গেছে,মুখের স্বাদ বদলে গেছে ,তা যাক।
তবে সেইগুলোও হারিয়ে গেছে ,যাচ্ছে ভাবলেই মনে হয় পৃথিবীটা ভাগাভাগি হয়ে গেল ,আর সে
সময়টা পেল কেবল চার আনা মাটি।।)))