( এ কবিতা হুমায়ূনের জন্মদিনের নয় মৃত্যুদিনের। তাঁর মৃতদেহ দেশে আনার পর কবর সম্পর্কিত জটিলতা কাটার এক বা দু 'দিন পর লিখা। সে সময় প্রচন্ড হুমায়ূন প্রেমী আমার একজন বন্ধু বলেছিল "বাংলার মাটি হুমায়ূনের যোগ্য নয়, তার মৃতদেহ সমুদ্রে ভাসিয়ে দেয়া উচিত " আমি চুপ ছিলাম। কী জানি, হয়ত নীরবে তার কথায় সমর্থন করেছি ......)


স্পষ্ট করে বলব আমি,
ঈশ্বরের ভুলে সমুদ্র গর্ভে আমার জন্ম হয়নি,
মৃত্যু হয়নি জ্যোৎস্না প্লাবিত রাতে।
ঝমঝমে বৃষ্টির প্রতীক্ষায় থেকে,
                    ক্রমশ ইলশেগুঁড়ি,
যে শব্দ আমি ঘৃণা করেছি আজন্ম,
তাতেই কটকটে হলুদ রঙের ছোপ ছোপ শ্রদ্ধা,
তোমাদের অপরিমেয় স্পর্ধার কথাই
                আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছে।


মৃত্যুপূর্ব এক চুমুক নিকোটিনহীন আমি,
মৃত্যুপরে, বিশাল পৃথিবীর গর্ভ ছেড়ে,
হিমঘরে কাটিয়েছি আমার দীর্ঘতম রাত।


অদূরে আমার হৃৎপিণ্ডরা,
মূলাখেকোদের দলে আমায় পুঁতে দিবে বলে,
আমার হৃদয়কে করছে অপমান।


মেতে থাকো তোমরা
যা আমার নয় তাতে,
যেমনটা এতদিন ছিলে।
আমি যাচ্ছি,
যা একান্ত আমার তা নিয়ে,
স্পর্ধিত ঈশ্বরের মোকাবিলা করতে।
ঈশ্বর অনন্ত নক্ষত্রবীথিতে তুমি অপেক্ষায় থাক,
আমি আসছি।