শ্যামলতা, তোমার খেইহারা কেশের আড়ে
আমার ছাঁইরঙা স্বপ্নগুলো ঘুমায়—
আর ঘনকৃষ্ণ চোখের গহ্বরে
সেঁটে যাওয়া এই নাবিক মন
আজো হাবুডুবু খায় কিনারের খোঁজে।
যন্ত্রণা ও বিষের শূরা পিয়ে পিয়ে
আজ আমি মাতাল দুঃখচারী
বৈ কিছু নই।
তবুও একাগ্র বেঁচে আছি—
তোমার অট্টহাসিতে, ভৎসনায়।
অজয়ার টলমলে মাদকতায়
পদে দলে চলেছি যত বাসনার শবদেহ;
অসহ্য কামনা গুলোকে নিক্ষেপ করেছি
ভিসুবিয়াসের জ্বালামুখে—
আজ আমি এক খন্ড রঙশুন্য পাথর
বৈ কিছু নই।
আমি ছিলেম হেলার পুথিঁতে গাথাঁ মালা।
আমি অগত্যা ছিলেম তাই-
আমি ছিলেম তোমার অবহেলা।
কৃষ্ণের সাথে তোমার উষ্ম আলিঙ্গনে
আমি ছিলেম অঘাসূর।
তবুও শ্যামলতা—
তোমার শরীরের গন্ধে
আমার সাদাকালো স্বপ্ন  ঝিমোয়;
কেননা তুমি আজো ঘুর্ণায়মান
আমার বুকের  কক্ষপথ ধরে—
যদি কোন এক সংক্রান্তিতে
মোদের দেখা হয়ে যায়,
কিছু মেঘ দিয়ে যেও প্রিয়—
এই ফাঁটল ধরা মরুময় গ্রহটারে ।


[ঢাকা,২৯/০৫/২০১৪ খ্রিঃ]