আমি নিজেকে গিয়েছি ভুলে
যেদিন থেকে অধর-মধ্যভাগে
কবিতা নিয়েছি তুলে।
কবিতা, তুমি বুকে বসার পর
শীতল হয়েছে আমার আগ্নেয় মনটা।
শিখেছি ভালবাসার তরজমা;
সেঁজেছি বহ্মচারী—
জীবন-তরণীর বৈঠা হাতে শিখেছি
সত্যিকারের মাঝিগিরি।
হৃদয়ের মসনদে তুমি আসীন
তাই গাইতে শিখেছি গান—
শুনতে শিখেছি কানপেতে
শেকড়ের ধ্বনিত আহ্বান—
বাহুতে বাঁধতে শিখেছি সাহসের
তাগা।
মনের তানপুরায় ক্ষণে ক্ষণে বাঁজে
শুধু তোমার কলতান—
আমি কবিতায় বেঁধেছি প্রাণ।
যখন স্থিমিত থাকি পাপ ও বেদনার
নিরক্ষরেখায়—
হঠাৎ দেখি বিজলি ঝলকে
তোমার মহাউত্থান !
আমি কবিতায় বেঁধেছি প্রাণ।
চেতনার জঠরে  পংক্তির মেলা
ঢেউ তুলে যায় বেলা-অবেলা;
সর্বস্ব তেজে দেহ-মন মাঝে
শুধুই কবিতা—
শুধুই কবিতা—
শুধুই কবিতার অবস্থান—
আমি তোমাতেই বেঁধেছি প্রাণ।


[ঢাকা, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪২১ বঙ্গাব্দ]