এই সমাজে দেঁতো হেসে, দিব্যি আমি বেঁচে আছি
সকালে বলি হরেকৃষ্ণ রাতে নাইট ক্লাবে নাচি।


মুখে বলি সবাই সমান, বসুধৈব কুটুম্বকম
কাজের সময় ভিন্ন হুঁকো, স্বরূপ তখন অন্যরকম।


সভায় এসে উঁচু গলায় পরাই প্রীতির মিলন রাখি
রাতের বেলায় পুড়াই দলিত, নাচি চিতা-ভস্ম মাখি।


নারীর আসন উচ্চে বলে সভা সমিতি মিছিল করি
সভ্যতারই ওড়না ঢেকে নগ্ন শরীর মেলে ধরি।


গোরু মারলে ধর্মভ্রষ্ট, মানুষ মারলে দুর্ঘটনা
এ সব নিয়ে এত হই-চই! বিপক্ষেরই সব রটনা।


কোটি কোটি টাকা লাগে ভারত মাতার ভোট শিল্পে
দিনের বেলাই লাশ ফেলে দিই, কেউ বা বাঁচে অতি অল্পে।


মিথ্যা বলা চুরি করা এসব এখন জীবন-কলা
ভালো মানুষ সাজা দেখাও? ব্রাণ্ডেড ছেড়ে খাও ত্রিফলা।


হাঁচি-কাশি ঈশান-অগ্নি, ভূত-পেত্নি দৈববাণী
শত্রুনাশ বা বউ-বশে ওঝা গুণীন সবই মানি।


এই তো সমাজ প্রাণ হারিয়ে কোনরকম বেঁচে আছি
সকালে যাই টিফিন হাতে, রাতে মদে ভাংড়া নাচি।