তোদের যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে-
আমি থাকব, নাকি চলেই যাব!
দেখ, অনেক যত্নে সাজানো এ ঘর।
এতটা বছর পর, এখনো এখানে যা কিছু আছে,
একটু ঘষামাজা করে নিলে,
নির্দ্বিধায় নিশ্চিত বাসযোগ্য হবে।
নিজের অজান্তে কবে-
ফ্লোরের ফাঁক গলে উঠে এলো,
রাজত্ব নিলো; উইপোকা।
দুচোখে ধোঁকা দিয়ে ছড়িয়ে পড়ল-
আলমিরা, শো কেস, বইয়ের তাকে।
আমি যাকে সবচে' প্রিয় ভাবি,
আর একটু দেরি হলে-
আমার শোবার ঘরে, তাদের অবাধ বিচরণ হতো?
কে আটকাতো? সর্বনাশ যা হওয়ার হয়ে গেল।
মূল্যবান কিছু বই খেয়ে নিলো।
অনেক কষ্টে মুক্তি মিলল।
তারপর হঠাৎ করে-
আমার বসার ঘরে, কোত্থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসল,
ছাড়পোকা। অতিথি এলে-
সদলবলে জড়ো হয় সকলে।
লজ্জায় ইনিয়েবিনিয়ে বলি।
তোরাও এক সময় চলে গেলি।
তেলাপোকার তেলেসমাতি কী বলব আর!
রান্নাঘর আমার, অথচ পুরোটাই দখলে তাদের।
মাকড়শার জাল জানালার কার্নিশে।
ভেবেছি ওরা মশা আটকাবে, ধরে ধরে খাবে।
কাজের কাজ কিছুই হলো না।
আর বলো না, আমায় অতিষ্ঠ করে ছাড়ল।
আরো আছে ঘুনপোকা, টিকটিকি।
অত সবের মাঝে কারটা রেখে, কার কথা লিখি!
ধূমকেতুর পেছনে কি এতো ধুলো আছে?
যতটুকু এ ঘরের আনাচকানাচে,
ছড়িয়ে পড়েছে?
ইদানিং ঘুমাতে গেলে-
অন্য উৎপাত। যতই গভীর হয় রাত-
প্রেতাত্মার পদচারণা বেড়ে যায়।
আমায় ভয় দেখায়, নানা রকম শব্দ শুনি।
আর আমি প্রমাদ গোনি।
রান্নাঘর, বৈঠকখানা,
কোথা থেকে আসে এত শব্দ!
কেউ কি করতে চায় জব্দ? নেই জানা।
একদিন ঠাউর করে দেখি,
একি! আমার ঘর তো ভরে গেছে,
নেংটি ইদুরে।
মনের ভ্রান্তি ছুঁড়ে, মনে মনে বলি-
কোথায় গেলে আমি শান্তি পাবো?
তোদের কাছেই আমি জানতে চাই,
আমি থাকব, নাকি চলেই যাব?