আমার জীবন নদী না হয় থেমে গেল,
হয়ে গেল ধু ধু বালুচর।
কখনও ভাঙ্গিনি আমি তোমাদের ঘর,
চাইনি তো হয়ে যেতে পর,
তাই তো জমেছে বালি বুকের উপর।
ধীরে ধীরে দূর্বাঘাস মাথাচাড়া দেবে,
কিশলয় বৃক্ষ হবে-
শোনা যাবে পাখির কূজন,
আনমনা করে দেবে মন।
কচুরিপানার মত উদ্বাস্তু এসে
অবশেষে খুঁজে নেবে আপন ঠিকানা।
কে করবে মানা? বাঁধবে পর্ণকুটির ওরা কয়জন।
ধরে নাও এ'আমার নতুন জীবন।
থেমে গেছে হয়তোবা আমার চলা,
করে গেছি শস্য খেত সুজলা সুফলা।
হারানো আমাকে কভু যেও নাকো ভুলে,
একদা দিয়েছি পলি এ'কূলে ও'কূলে।
সাঁতার কেটেছে কত দুরন্ত কিশোর
আমার বুকের 'পরে। সবে কাকভোর
এসেছে গাঁয়ের বধু নাইতে এখানে।
সম্মুখ পানে গেছে নৌকার সারি
গঞ্জের হাটে। কতকাল দিলাম তো পাড়ি!
না হয় হলোই আমার জীবনাবসান,
থেমে না যায় যেন ভাটিয়ালি গান।