সবুজ পাতার কাছে সবুজ চেয়েছি।
নিঃসংকোচে না করেছে সে।
মৃদু হেসে ফুলের সৌরভ ফিরিয়ে দিয়েছে।
ঝর্ণার ধারা, আকাশের নীল;
সাদা, গোলাপী শাপলার বিল
এতটুকু উদারতা করেনি আমাকে।
আর যাকে পড়ন্ত বিকেলে
আবীর দেব বলে
অধীর আগ্রহে অস্তাচলে আসতে বলেছি
সে-ও আজ জানিয়েছে-
তার অক্ষমতা।
এখন এত যে কথা কাকে দিয়ে যাই?
অবশেষে খাতার পাতায়
আনমনে কিছু কথা পেয়ে গেল ঠাঁই।
এই দ্বীপে কেউ নাই, শুধু নিঃসঙ্গতা,
আর আছে সবার অপারগতা।
সেই সাথে আমার অক্ষমতা
প্রকাশ করার।
এই ধরার অবুঝ শিশুর মত
দূর্ভেদ্য ভাষায় বুঝাতে চেয়েছি,
বুঝতে পারেনি কেউ।
এমনকি সে-ও। মরচে ধরা দখিনা দুয়ার
খোলার আপ্রাণ প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছি।
ভাঙ্গবে না জেনেও ভাঙ্গতে চেয়েছি।
সকালের সূর্য যে আবেশ ছড়ায়
তা কেন হারায় না পড়ন্ত বিকেলে?
কেন মৃত্যুর নীলে
একটুও ফিকে হয়ে উঠে না জীবন?
দেখো না কেমন-
বসন্ত বিবর্ণ হয়, পৃথিবীর পটপরিবর্তন হচ্ছে অনুক্ষণ।
তোমাদেরও মন বিরক্তিতে ভরে যায়
যখন তখন।
তাই আজ নয় কোন শোক।
চাইছি শুধু-
মনের মৃত্যু হোক।