নিশি আসে।
সূর্যটা বিদায় নিলে-
পূর্ব থেকে ঝাউ বনের সোঁসোঁ শব্দে
গাঢ় এক আঁধার হয়ে
আমার একছত্র নিরবতা ভেঙ্গে দিতে
নিশি আসে।
পাহাড়ের পাদদেশে
যেখানে এসেছি ফেলে স্মৃতির প্রাসাদ,
যেখানে এসেছি ফেলে জোছনার রাত;
সেখানেই আজ-
বৃহৎ বৃক্ষরাজির আড়ালে
জরাজীর্ণ অট্টালিকার অভ্যন্তরে
স্বপ্নের জোনাকিরা খেলা করে।
একরাশ শূণ্যতার মাঝে
অপ্সরীর অবয়ব নিয়ে
শুকনো পাতার নুপুর পায়ে
সুরার মাদকতা ছড়িয়ে
নিশি আসে।
বুকের একান্ত নৈকট্যে সাগরের দীর্ঘশ্বাস,
হাহুতাশ আর হারানো দিনের গল্পে
মসগুল হয়ে উঠে।
কখনো বা ঘুমের ঘোরে
মাধবী লতার মত বক্ষে জড়িয়ে
ঘামের গন্ধে বিভোর হয়ে পড়ে।
নিশি আসে-
সর্বনাশা মাতন নিয়ে।
কণ্ঠ লগ্না হয়ে পিষ্ট হয়
স্ফীত বক্ষে আদিম নৈসর্গিকতায়
নিজেকে হারায়।
একান্ত নিঃসঙ্গতায় নিশি আসে।
সীমাহীন শূণ্যতায় ভালবাসে।
নিশি হারিয়ে যায় আলোর আভায়।
আবার-
নিশি আসে......।