অট্টালিকার মানুষগুলো-
যাদের পায় না একটু ধূলো,  
সকল কিছুই তাদের হাতে আছে,
সব অধিকার ভোগ করেই বাঁচে।
চাওয়া কী ভাই তবু পিছু ছাড়ে?  
ক্রমাগত পাওয়ার নেশাই বাড়ে।
তোরা আছিস্ বেশ-  
চাওয়ার নেই যে লেশ।
পলিথিন আর চটের তৈরী ঘরে
প্রচন্ড শীত, শ্রাবণ ধারা,
কাল বোশেখের ঝড়ে,  
না হয় তোরা ঘর বেঁধেছিস্
পথটা দখল করে।  
যে পথে যায় রেলের গাড়ী
তারই পাশে তোদের বাড়ী
নোংরা বস্তিতে,
আছিস্ তবু তৃপ্তিতে, স্বস্তিতে।
দেখেছিস্ কী ভাই?
যাদের জীবন নাই
তারা কেমন জীবন গড়ে নিষিদ্ধ পল্লীতে।
ছুটছে টোকাই ঝুলিয়ে থলে পিঠে
জঠরজ্বালা কুড়িয়ে পথে মিটে
চপল চোখে খুঁজছে জীবন
রাজপথ-গলিতে।  
দেখ্ না কেমন দিব্যি আছে পঙ্গু ভিখারী
কষ্ট সাগর নির্বিকারে দিচ্ছে সে পারি।
কামার, কুমোর, তাঁতি, জেলে,
কৃষক, শ্রমিক, মজুর কিংবা মুটে
তাদের ঘামের মূল্য ওরা
নিচ্ছে নিত্য লুঠে।
গৃহভৃত্য, মেথর, মুচি  
ঘরে ঘরে আনছে শুচি,
কাজের মেয়ে সকিনা আর এমন তালিকা
অনেক আছে আমার কাছে আরো,
ফুলের মালা বিক্রি করা সেই যে বালিকা
অঢেল কোন চাহিদা নেই তারো।
অন্ধ, খঞ্জ, প্রতিবন্ধী
করে কী ভাই কোন সন্ধি?
করে কী সে কোন অভিযোগ?
চায় কী তারা রাজার মত ভোগ?
ফুটপাথের ঐ দোকানদার
কোন দুঃখ নেই যে তার
পুলিশ ভাইয়ের লাঠির গুঁতো খেয়ে।
রিক্সা চালায় সত্তরোর্ধ্ব
ভ্যানের চাকা হয় না রুদ্ধ
ভালোই আছে দর্জিপাড়ার মেয়ে।
তোরা যদি বন্ধ করিস্ ওদের ভাগ্য লিখা
ভেঙ্গে যাবে সুখের জীবন, তাসের অট্টালিকা।
(বিত্তবানদের চিত্তে পরিবর্তন আসুক। সমাজ পরিবর্তনে আসুক সমতা।)