বাঁশের বেড়া আর ছনের ছাউনির ঘর থেকে বেরিয়ে
হাঁস আর মুরগীর বাচ্ছাগুলোকে এড়িয়ে
ছোট্ট উঠোনটা পেরিয়ে
বাঁশ ঝাড়ের নীচ দিয়ে যে চিকন পথটা
সবুজ প্রান্তরে পৌঁছে গেছে,
যেখানে ফিঙ্গে পাখি ঘাস ফড়িংকে তাড়া করে,
ধানগাছে ঢেউ তোলে দক্ষিণা বাতাস
আমি সেখানে থাকি।
মাঠের মাঝ দিয়ে আঁকা বাঁকা পথ
দু’ পাশে খেজুর আর শিরীষের সারি
মাঝে মধ্যে কয়েকটা বাড়ী
তারপর ছোট ছোট সাঁকো
তারও পর কর্ণফুলির তীর
যেন শান্তির নীড়
আমি সেখানে থাকি।
সারাদিন কত নৌকা যায়
কোন কোন দুষ্টু ছেলে ছোট্ট ডিঙ্গি নিয়ে
স্রোতের বিপরীতে জীর্ণ হাতে বৈঠা বায়,
জেলেরা জাল ফেলে অতল জলে
কেউ কেউ গানও গায়।
নদীর ওপাড়ে কাজল রেখার মতো গ্রাম-
খেয়াঘাট, খড়ের গাদা, গবাদি পশু,
ছোট ছোট ঘর, মসজিদ, মন্দিরের চূড়া;
হাটের কেনা-বেচা, লোকের চলাচল  
এখান থেকেও দেখা যায়
আমি সেখানেও থাকি।