তোমার দিকে তাকিয়ে আমি পড়ন্ত এক বিকেলকে দেখি।
লক্ষ কোটি আলোকবর্ষ দূর থেকে ছুটে আসা গ্রহাণুকে দেখি।
পিতার শুক্রাশয় থেকে মাতার জরায়ুর দিকে ধাবমান শুক্রাণুকে দেখি।
জরায়ু তে বেড়ে উঠা ভ্রূণকে দেখি।
চিৎকার করতে থাকা সদ্যজাত মানব শিশুকে দেখি।
আমি বার বার দেখি।
আমি বার বার তোমাকে দেখি।
বড় বেশি অচেনা মনে হয় -
অসহায় সদ্যজাত শিশুর সাথে, চির চঞ্চল কিশোরের সাথে।
কোন সাদৃশ্য খুঁজে পাই না -
সুঠাম দেহের সেই যুবকের সাথে,
প্রিয়ার হাতে হাত রাখা প্রেমিকের সাথে,
গর্বিত পিতার সাথে।
চিতার ক্ষিপ্রতা নিয়ে ছুটে চলা সংসারী মানুষের সাথে। মৃত্যুঞ্জয়ী নাবিকের সাথে।
স্বর্ণালী সকালের সাথে।
তারপরও আমি শুধু তোমাকে দেখি।
বার বার তোমাকে দেখি।
তোমার জন্ম দেখি, তোমার বেড়ে উঠা, ক্ষয়ে যাওয়া দেখি।
বিগত যৌবন এক প্রৌঢ়, শুভ্রকেশ কৃশকায় বৃদ্ধকে দেখি।
গ্যালাক্সিতে ঘুরতে থাকা নিস্তেজ নক্ষত্রকে দেখি, নক্ষত্রের মৃত্যুকে দেখি।
মৃত্যুকে ঘিরে থাকা হা হুতাশ দেখি।
জ্বলন্ত চিতা, কিছু অর্ধ দগ্ধ হাড় আর কিছু ছাই দেখি।
চারপাশে একরাশ শুন্যতা দেখি, মরুর মরীচিকা দেখি।
সব কিছুতে আমি তোমাকে দেখি।
আয়নার অন্তরালে আমাকে দেখি।
আমি শুধু আমাকে দেখি।