মায়ের জরায়ু থেকে বের করে
ধাত্রী আমার পৃষ্ঠদেশে করাঘাত করেছিল কিনা  নাকি নিজে নিজেই হৃদপিণ্ড চালু হয়েছিল
জানি না। কিন্তু তারপর থেকে আজ অবধি হৃদপিণ্ড
ঘড়ির কাঁটার সাথে তাল মিলিয়ে
স্পন্দন করে চলেছে তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিমায়।
কখনো একবারের জন্যও থামেনি।
হৃৎস্পন্দনের সাথে তাল মিলিয়ে  
কখন যে সেই ছোট্ট শিশুর কোষগুলো
জন্ম-মৃত্যুর খেলা দেখাতে দেখাতে
আমাকে এখানে এনে দাঁড় করিয়ে দিল
বুঝতে পারিনি। এই অবেলায় এসে
হিসেব কষে দেখি কোন হিসাবই আমি রাখিনি।
অথচ আমার জন্য বরাদ্দকৃত স্পন্দন
বড়ো একটা অবশিষ্ট নাই।
তাই শৈশব, কৈশোরের কাছে যাই,
উন্মাদনায় হারানো সেই যৌবনের কাছে যাই,
পৌঢ়ত্বের কাছেও ধর্না দিয়েছি আমি
যদি কিছু পাই তাদের হালখাতায়।  
সকলে খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে।
জীর্ণ, শীর্ণ, বিধ্বস্ত, ব্যর্থ মনোরথ এই আমি
চরম কৃচ্ছ্রতায় অনাগত দিনে প্রতিটি স্পন্দন
গুনে গুনে লিখে রেখে যেতে চাই।
সেই প্রতিজ্ঞা আমার সময় স্রোতের কাছে,
প্রবাহিত নদীর কাছে, সকাল বেলার সূর্যোদয়ের কাছে।