তোমরাই নাইটিঙ্গেলের উত্তরাধিকার।
তোমরাই পেয়েছ অধিকার-
সেবার।
পৃথিবীর যুগ সন্ধিক্ষণে-
রণে ক্ষত-বিক্ষত সৈনিকের দেহ।
ক্রন্দন, হাহাকারে বিদির্ণ আকাশ,
বাতাস ভারী হয়ে আসে।
মমতায় ভরা মন ধনীর দুলালী
সমাজের দুর্ভেদ্য প্রাচীর
ভাঙ্গিয়া বাহির হয়
তমসাচ্ছন্ন এক দুর্যোগের রাতে।
দাঁড়ায় পিদিম হাতে
মৃতবৎ সৈনিকের পাশে।
তোমরাই নাইটিঙ্গেলের উত্তরাধিকার।
তোমরাই পেয়েছ অধিকার-
জীবনদায়ী বাতি বইবার।
ভেবে দেখ মনে-
সভ্যতার বিভৎস ঊষার লগনে
দিন-রাত প্রতি ক্ষণে ক্ষণে,
শুভ্র বসনে,
মুমূর্ষু, যন্ত্রণাক্লিষ্ট প্রতি জনে জনে
ছুটে গেছে ক্লান্তিহীন মহীয়সী নারী।
তোমরা-
উত্তরাধিকার তাঁরই।
এখনো রোগাক্রান্ত মানুষের সারি,
এখনো বাঁচার আশায় নির্ভরতা করে
তোমাদের 'পরে।
তোমরা শুনিয়ে যাও সান্তনার বাণী,
সেবা দাও, প্রসারিত মমতার হাত,
কাটাও বিনিদ্র রাত
প্রিয়জন রেখে এসে ঘরে।
সম্মানের স্বর্ণ শিখরে-
মাথা উঁচু করে পেয়েছ অধিকার
বাঁচার।
তোমরাই নাইটিঙ্গেলের উত্তরাধিকার।