আচ্ছা মা বলত দেখি আমায় কেন নিলিনা কোলে
কত কষ্টে দিন কাটালি উথাল পাতাল সময় ভুলে
কত আশায় অনুভবে ছিলি ভেসে সব পেয়েছির কুলে
এক লহমায় সব হারালি ! ডুবিয়ে দিলি অতল জলে।


আচ্ছা মা বলত দেখি, আমার দোষ পেলি খূঁজে !
বেশতো ছিলাম তোর ছায়াতে অন্ধকুপে মুখটি বুজে
শুনতে পেতাম স্বপ্ন মাখা কত কথা খুশীর স্রোতে
এক লহমায় ভুলে গেলি ! কিসের ভয়ে জীবন পথে।


আচ্ছা মা বলত দেখি, কার ইচ্ছায় হলো এমন
বদলে গেল দুনিয়াটা তোর, ভিজল না শুস্ক নয়ন
হারিয়ে হাসি ঠোঁটের কোণে, বদলে গেল মুখের ধরণ
কোন সমাজ প্রবল রোষে, করল তোর খুশি হরণ।  


আচ্ছা মা বলবি আমায়, কেন ফেলে গেলি হাসপাতালে
শুধু তোদের গোত্রের নয় ! বিলিয়ে দিলি এই বোলে
কাগজ পত্রে হলফ নামা লিখে দিলি কিসের ভ্রমে  
দানপত্রে জানিয়ে গেলি;  যেন, রাখা হয় অনাথ আশ্রমে।


পেলাম আমি অন্য কোল, সন্তান হীনায় করল লালন  
আদর যত্নে মানুষ হলাম, যোগ্য মায়ে করল পালন
সব জেনেছি অনেক পরে, যখন দেবীমা বলল আমায়  
বিশ্বাস হয়নি কোন কথাই, মুষড়ে গিয়েও দারুন ব্যথায়।  


জানিস মা, তৃতীয় গোত্রের হয়েও আমি, ব্রতী হয়েছি মানব সেবায়
মৃত্যু পথ যাত্রীদের জীবন ফেরাই, সকাল সাঁঝের রোজনামচায়
ফোটাই হাসি মানুষ গুলোর, ভেসে যাই আশীর্বাদের ঝর্না ধারায়
ইচ্ছা করে সুযোগ এলে,  জন্মের ঋন শুধব আমি তোর সেবায় ।


সমাজ বলে কুসন্তান যদিওবা, কুমাতা নয় কস্মিন কালে
এই ধারনা বদলে যাবে, সব হতভাগারা সুযোগ পেলে
জন্মায় মানুষ অনেক খুঁতে, কম বেশি কারো নেইতো হাতে
স্রষ্ঠা যখন খুশি মনে, পাঠায় ধরায় মায়ের কাছে, মানব হিতে।      
    
      
সোনারপুর
২৫.০৭.২০১৯