ঘরে বাইরে বিপদের ঘনঘটা যৌবনের আকাল
কেউ কী নেই ? দুর্যোগে ধরতে নাওয়ের হাল।


ঘাটের মড়াগুলোর দ্বিচারিতার বহর, আস্ফালন দেখে দেখে  
আগামীর দিশা মুখ থুবড়ে চরায়, ফসিল ভাবনার ঘুর্নিপাকে  
নেই হেলদোল, ইথার তরঙ্গে অর্ধশিক্ষিতের সংস্কার সংলাপ
গেলেও দেশ রসাতলে বাতাসে ভাসে শবগন্ধের প্রলাপ    
অসংরক্ষিত অর্থে সংরক্ষিত ঘেরাটোপে মৌতাত বিলাস
দেখা অদেখায় চোর বাটপাড়ের লুটে নেওয়ার প্রয়াস  
অঢেল সুযোগ সুবিধার মান রাখতে পেশাদার শয়তানি  
প্রার্থনা কেমন হবে, তাও বলে দেয় নরকের মহাজ্ঞানী।  


স্বাধীনতার অর্থ কী শুধুই ভাষণ ! স্বপ্নের ফানুস ওড়ানো !  
অনাহার অপুষ্টি অশিক্ষার বিরুদ্ধে নয় ! মানুষে মানুষে ,
দেশে দেশে নানা ছলে  বিভেদের আগুন জ্বালানো ?    


হতাশার দাবানল সবুজ মনে, বসন্ত হাসে না আকাশ জুড়ে
মন্দির মসজিদ গীর্জা হয়, কারখানা নয়, সুখ আসবে মাটি ফুঁড়ে !    
আলোর সন্ধানে অস্থির সময় প্রতিদিন খায় পাঁজর কুরে    
শ্রমের দরজায় দোলে তালা যাতনা মেটে না মাথা খুঁড়ে  
সমাজ মানে না, ধম্ম মানে না, সবখানে তার একসুর
দানা পানিতেই তুষ্ট হয় সকাল সন্ধে অবয়বহীন অসুর
দিন যায় বিবর্ণ সবুজ,  ক্ষয় রোগ বাসা বাঁধে সমাজে
উপাস্যেরা সত্যি দেখতে পায় ! কখন কে ছিল কোলাজে।


আগামীর কথা ভেবে,  সবুজের কথা ভাবনায় রাখা চাই
মানুষ ছাড়া কেহ নেই , মন্দির মসজিদ গীর্জা গড় যতই।  


সোনারপুর
৬/৩/২০২০