ভালো ছিল দিন গুলো; ঘরে ও বাইরে সবাই স্বজন , না থেকেও ছিল সব      
আদর ছিল, ভয় ও ছিল, ছিল না বোধ আপন পরের, ছোট বড়র কলরব।      


বদলে গেল স্বর,  শরীরে এল রূপান্তর , কে যেন দিল হানা মনের ভিতর
লাজুক চোখে চাওয়া; এড়িয়ে বড়দের;  ভাবনার ঘরে আলোড়ন নিরন্তর  
মায়ের সাবধান বাণী, বড়দের মুচকি হাসির অর্থ বুঝতে পেরিয়ে যেত বছর
বাড়ত পড়ার চাপ, বাড়িতে কাজের কিছু ভাগও এসে পড়ত ঘাড়ের উপর    
কখনো ভয়, কখনো বা একলা থাকার অভিলাষ, বার বার আয়নায় দেখা
নিচু স্বরে কেউ বললে কথা লজ্জা বাড়ত আরো, বাড়ত নির্জনে একা থাকা
আবোল তাবোল ভাবনা কাটতে ঘরে মা, বাইরে পরিজন রাখত নজর সময়ে
স্কুলে না গেলে দুইদিন, কোন না কোন বন্ধু খবর নিয়ে, দিত স্কুলে জানিয়ে ।


হটাত করে উড়ে উড়ে আসত অভিমান, সামান্য কথায় বাড়ত জেদ মনে
বকা খেলে মায়ের কাছে, না খেয়ে শুয়ে থাকাটাই প্রথম ছিল মনের অভিধানে
মান ভাঙানোর চেষ্টা করত বাড়ির সবাই, শুয়ে শুয়ে সে কথা আসত কানে
সব শেষে আসত মা, আদরে ভরে দিয়ে বলত রাগ করে বোকারা, রাখিস মনে
হাত ধরে জোর করে টেনে তুলত, ভাত মেখে খাইয়ে দিয়ে অভিমান ভাঙাত
দিন গুলো কেটে যেত এমন করে,  স্নেহ আর ভালোবাসায় মনে আলো ছড়াত
অজানা আগামীর অনেক কথাই সময়ে সুযোগে বাড়ির সবাই গল্পের ছলে বলত
কিছু তার আজো মনেপড়ে, সময়ের সন্ধিক্ষণে ছিল দিক নির্দেশ, যেটুকু কানে ঢুকত।  


ভালো ছিল দিন গুলো, আর ফিরে আসবে না, গল্পে বলা কথা আজ ভীষণ বাস্তব
সময়ের মূল্যে হেরফের হলে জীবন থমকে দাঁড়ায়, ছায়া সরানো হয় না সম্ভব।    


সোনারপুর
৯/৬/২০২১