আহা ঐ আঁকা বাঁকা পথে ঘোলা স্রোতেদের সাথে ভেসে
বেরিয়ে পড়তে চায় মন মাটির গন্ধ মাখা বুকভরা মুক্ত বাতাসের আশে  
জনারণ্য ছেড়ে সময় সরিয়ে দূরে দেখতে মুক্ত সবুজের হাসিমাখা মুখ
সকাল থেকে সন্ধ্যে কেটে যেত নিমেষে, হৃদয়ে শুষে নিতে অরণ্য সুখ
মনে হত না জীবন মানেই দুঃস্বপ্ন, বেদনায় ঢাকা এক ধুসর আকাশ
নিবিড় সবুজের ফিসফাসে লাগত ঘোর, অচেনায় মিলত হৃদয়ের অবকাশ।


এখনও সেই অরণ্যই খুঁজে ফিরি যার বাঁকে বাঁকে রক্ষিত আদিম সুবাস
যার সাথে পাখা মেলে দেয় মন, সবুজ নির্জনতায় ভরে ওঠে হৃদয়ের ক্যানভাস
যেখানে শোনা যায় নিজ হৃৎপিণ্ডের ধুকপুক, অথবা ঘোলা স্রোতেও ভাসে ছবি
অন্তত অপটু ভাবনায় ভাষায় মন লিখে রাখে অনুভব, না হলেও চলে কবি
প্রতিটি সবুজের আলাদা আলাদা সৌরভ চেনায় এরা এক নয় মিলেমিশে থাকে
এরা নিজ নিজ গোত্রেই খুশী, প্রয়োজনে অথবা প্রাবাহে প্রকৃতির ঐশ্বর্যই মাখে
অন্যের সুখে করে নির্বাক যাপন, বেদনায় দেয় ছায়া, করে মনের ক্লান্তি হরণ
নিঃশব্দে বলে এসো বন্ধু এসো জুড়াও জ্বালা, আমার সানিধ্যে হৃদয় কর নির্বাপণ।


যত দেখি ওদের মেটে না সাধ, একই সবুজে খুঁজে পাই ভিন্ন ভিন্ন আভাস
কেউ বেঁটে কেউ লম্বা কেউ বা হাত পা ছড়িয়ে ছুঁয়ে যেতে চায় নীল আকাশ
কেউ বা অন্যকে জড়িয়ে আদরের চুমুতে চুমুতে বদলে দেয় তার বেশবাস
খুশীর সহবস্থানে পরিপূর্ণ সবাই কোথাও শুনতে পাইনি কারো দীর্ঘশ্বাস
মনেহয় ওদের সাথেই থাকি, ওদের কাছেই শিখি বাঁচার আনন্দের নির্যাস
কি হবে ইট কাঠ পাথরের চার দেওয়ালে থেকে যা দিতে পারে না শান্তির নিঃশ্বাস !    

সোনারপুর
১৮/১১/২০২২