যান্ত্রিক বা ছাঁচে ঢালা, এর কোনটাই নয়  
তবুও আমরা অসন্তোষে ভুগি, কেন এমন হয়
উত্তর খুঁজে ফিরি বিশ্বাসে বা অবিশ্বাসে, দরজায় দরজায়
কিছু অকথা শুনে দোষ খুঁজি, বুঝিনা সৃষ্টি রহস্যময়।


একটা গাছ; ফলবতী হয়, আনন্দে ভরে ওঠে মনটা
একই বোঁটায় থেকেও ছোট বড়, কেন হয় এমনটা
একই হাতে আঙুল পাঁচটা, আয়তন কেন হয় আলাদা  
বলতে পারি কি; ছোট বড়র জন্য ব্যবহারে সুবিধা।    


মানুষের আঙুল; মানুষ বুঝল;  স্রষ্টা বুঝল কেমন করে
তবে আছে কি রহস্য তার, লুকানো জ্ঞানের ভান্ডারে
কেনই বা আলাদা গঠন; বুদ্ধি; প্রবৃত্তি; প্রতি জনে    
পাওয়া যায় কি সঠিক ব্যখ্যা বৈষম্যের, কোন কারণে।


স্ত্রী পুরুষ দুটি জাতি, তৃতীয় জাতি একই অঙ্গে উভয়  
জন্মে ব্রাত্য সে সমাজ জীবনে, কেন এমন হয়
সেও পিতা মাতার সন্তান, কেন সইতে হয় অপমান
এই উত্তর দেবে কে, সমাজ ! নাকি বিশ্বাসের ভগবান।


কেন পাবেনা সে অধিকার শিক্ষায়, কর্মে, প্রতিদিনের যাপনে
জন্মে তার কি দোষ, ভেবে পাওয়া যায় কি মননে
জেনেছে কি সমাজ তার বুদ্ধি, প্রবৃত্তি, কাজের উৎকর্ষতা
নাকি প্রথাগত ভাবেই গয়ং গচ্ছ,  উদাসীন আড়ষ্টতা।      


স্রষ্টার আশীর্বাদে সেও, আলো দেখেছে পৃথিবীর, একই ভাবে
তবুও কেন কূপমণ্ডূক সমাজের শাণিত নখে রক্তাত হবে
শিক্ষিত মানুষ নিকষ অন্ধকারের গর্ভে আলো জ্বালাবে কবে  
তৃতীয় লিঙ্গের প্রতি বঞ্চনার অভিশাপ কতদিনে মুক্ত হবে
শিক্ষিত; উন্নত সমাজ, বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে কবে ?


সোনারপুর
২৪/০৭/২০১৯