কোন এক সন্ধ্যা বেলায় কাজের শেষে পথ সভায়
ভাষণ শুনে আপ্লুত হয়ে ফিরছ ঘরে হালকা নেশায়
ফুর্তিতে রেখেছ ভেবে চমকে দেবে গিন্নিকে, ফিরে বাসায়  
মঞ্চের ঐ নেতার মত,  মারকাঠারি রকমারি কথার মালায়।


বারে বারে আপন মনে নিচ্ছ তালিম,  পায়ের তালে
দেখছ আমাবস্যাতে ভাসছে চাঁদ, ঘর পোড়ার শুকনো খালে    
গুছিয়ে নিয়ে নিজেকে করলে প্রবেশ, বাড়ির গেটে হেলেদুলে
পথ সভার সেই কথাটি হাজার বার আউড়ে গেলে ।    
    
জামা কাপড় বদলে নিয়ে, ঘর বারান্দা দেখলে খুঁজে
গিন্নি তখন পাক ঘরে, ব্যস্ত ভীষণ পাকের কাজে
মনে তখন দেদার জোয়ার, চমক দেবার নেশার মাঝে
এগিয়ে গিয়ে বললে তাকে, তোমার সাথে কথা আছে।


বিন্দু বিন্দু ঘাম মুছে, চোখ তুলল তোমার দিকে      
কড়াই ভরা ডাল, ফুটছে তখন নামিয়ে নেবার আগে
খাদে  এনে গলার স্বর, বললে ভালোবাসতাম আমি যাকে
তার নাম বলবো আজ, এতদিন যা বলিনি তোমাকে।    


কাটছে সময় গুলিয়ে গিয়ে, তাকিয়ে গিন্নি ভীষণ রাগে
কপাল ফেরের কি তামাশা, কথা আর আসেনা বাগে
আমতা আমতা করছে জিভ, মুখে কেবল আসছে না
জ্ঞান ফিরল হাসপাতালে পরের দিন, নিয়ে অসহ্য যন্ত্রণা।


বুঝলে,  শরীর জুড়ে ব্যান্ডেজ, মাথাটা ও যায়নি বাদ
ডাক্তার এসে জানতে চাইল , কী করেছিলে অপরাধ
নার্স জানালো, হাতা খুন্তির যুগলবন্দী মাথায় গরম ডাল
সুস্থ হতে বেশ কিছুদিন, মাথার চুলের হয়েছে পরকাল।


যন্ত্রনায় কুঁকড়ে গিয়েও, পড়ছে মনে গতকালের অনেক কথা
শুনেছিলে মায়ের কথা, ভাষণে বলেছিল পথ সভার নেতা
চোখের পানি বালিশ ভেজায়, আবেগে কর না হাঁকডাক  
মা কথাটাই ভুলেছিলে, সেটাই ছিল ত্রানের মন্ত্র, চিচিং ফাঁক।


সোনারপুর
২১.৩.২০০