তৃণভোজী নয়, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীবের এমন দুর্গতি !
বিরাম হীন, কার শাপে; পাপে; মরছে রাশি রাশি
বাতাস পৌঁছে দেয় ঘ্রাণ, আহা গৃধ্রের ধরে না হাসি।
গৃধ্র-গৃধিনী চক্কর কেটে নেমে আসে, শুনশান মরা চরে
গুটি গুটি পায়ে বুঝে নেয় কোনটা বুড়ো, কোনটা কচি
অস্থি-চর্ম সার বুড়োকে অপছন্দ, কচিতেই স্বচ্ছন্দ গৃধ্র রুচি।
তীক্ষ্ণ চঞ্চুতে ছিঁড়ে উত্তমাঙ্গ ; গৃধ্রের স্বরে উল্লাসের হাসি
বাকিরা একযোগে খুবলে ছিঁড়ে খায় জীবনের সব স্বপ্ন
ঘাসে ঘসে চঞ্চু, গ্রীবা বেঁকিয়ে পালক খুঁটে ঝেড়ে নেয় যত্ন
সংকেতে বলে সাথীদের, আমরা নিমিত্ত মাত্র; অগতির শশী
বাসায় ফিরে স্বস্তির শ্বাস; ভাবে, সত্যিই ছিল অশেষ পুণ্য
স্রষ্টা মহান, জেনে বুঝেই করেছে গৃধ্র, দেয়নি মানব জন্ম।
সোনারপুর
২৬.০৬.২০২০