এই ছেলে, তোকে না বলে ছিলাম, শুনলিনা সে কথা
পুরুষ হয়ে উঠতে চাইলি, ত্যাগ করলি ব্রহ্মচর্যা
রোজ পড়াতে পড়াতে ভাবতাম, যদি এমন থাকিস
যে পর্যন্ত তুই একতরফা আদর পেতে পারিস।।  


যে পর্যন্ত তোর দুচোখে বিস্ময়ের ঘোর না লাগে
আমার চঞ্চল ভাবনা গুলো যখন তোকে বেশি মাপে
তুই বুঝতিস না, আমার ঊষ্ণতার পরশে তোর হাঁসফাঁস
শীতের দূপুর গুলো ভালো কাটতো আমার বুকে, দীর্ঘশ্বাস।।


যখন পালাতে চাইতিস বজ্র বেষ্টনী খুলে ঘুড়ির টানে
পারতাম না তোকে ছেড়ে দিতে, পড়ানোর নামে
নিস্তব্ধ দুপুরে, বন্যার স্রোতে ভেসেগেছি কতদিন
তুই তা জান্তিস না, তোর নিবিড়তায় সুখ ছিল সীমাহীন।।


সময়ে তুই লাজুক হলি, বুঝলাম কাব্যের হয়েছে সুচনা
আরো বেশি করে চাইলাম তোকে, কোথায় রাখি বল যন্ত্রনা
তারপর তুইও যেন দুরন্ত হয়ে উঠলি, প্রতি দুপুর ছিল স্বপনে
নেশার ঘোরে বাগান সাজাতিস, দক্ষ মালির মত যতনে।।