হিপ হিপ হুররে, হিপ হিপ হুররে
ওরে নকারে সব কাজ ফেলে রেখে আয় আজ বলটা পাঠাই মাঠের বাইরে      
পায়ে পায়ে নব্বই মিনিটে চষে ফেলি মাঠ টা  
নকশা তুলে পায়ে মাথা টা ঘুরিয়ে দিয়ে জালে ফেলি বল টা  
গ্যালারির পাবলিক চিৎকারে জানাবে আহা কি দারুণ দিলি ভাই পাস টা        
কানফাটা চিৎকার হুল্লোড়ে উড়ে যায় বিপক্ষ,  কটা খাবি পচারে হিপ হিপ হুররে      
রেফারির হুইসেলে লম্বা হল্লা ওঠে জোরে গোল...গোল...হিপ হিপ হুররে  
ওরে কাকারে বন্ধ রাখ সব কাজ, আয় আজ মাঠে নেমে কিক করি সজোরে ।    

একশো বছরের ফুটবল ইতিহাসে কার কটা গোল  
কাদের জার্সি গায়ে কোথায় কে খেলতো, কাটাছেঁড়ায় চলছেই শোরগোল        
পাড়ার মোটুদা মুখস্ত বলে যায় নামতার মত, পাস টা কার ছিল, কার ভুলে হয়নি গোল          
বাজার দোকান থেকে পাড়ার রক সকাল থেকে রাত ভগবানের হাত নিয়ে আজো হয় হট্টগোল    
মিলান না রিয়াল, জুভেন্টাস, ম্যাঞ্চেস্টার, টোটেনহাম, নাকি বার্সেলোনা, লিভারপুল
পেলে না মারাদোনা কাকে খোঁজো কাকা ... লাইনে আছে  মেসি, রোনাল্ডো, নেইমার, এমবাপো    
হাঁপবুড়ো ছুটে এসে চেঁচিয়ে বলে গেল আমরা কম কিসে, আমরাও খেলবো    
ব্রিটিশের সাথে খালিপায়ে খেলেছে বাঙালির বেটা গোস্ট দা, বল নিয়ে দাঁড়িয়ে আজো ময়দানে      
চুনি পিকে বলরাম, সুকুমার শৈলেন , শ্যাম মোনো সুরজিত, উল্গা বিদেশ কৃশানু
সুব্রত সমরেশ, ময়দান মজে ছিল মইদুল চিমা বাইচুং বেরোটায়    
রাতজেগে রোদ জলে ভিজে পুড়ে ঘোড় পুলিশের লাঠি খেয়ে টিকিট কাটা কে আটকায়  
কোমর হয়না সোজা তবুও দৌড়ে এসে ঐ মুদিখুড়ো,  বলে গেল আমরা বাঙালি হারবো না ওজরে।    


গ্যালারিতে ওঠে আওয়াজ
ওরে মদনা সামনে দেখ না, বলটা বাড়িয়ে দেনা বাঁ দিকের কর্নারে      
না খেলেই খেলোয়াড় মাঠভরা সাপোর্টার করে গলা বাজিরে
চায়ের ভাঁড়ে জমে খির গোলটা, পক্ষে বিপক্ষে ঘুগনির বাজী চলে বাজারে ষ্টেশনে            
বন্ধুতে বন্ধুতে হাতা হাতি, ভিড় বাড়ে মাল নেই জার্সির দোকানে
বাবা ছেলে দুজনেই দু-দলের,  তর্কে বেসামাল খাবার ডাকে ঘি পড়ে আগুনে    
বাড়ির মহিলারাও যায় না কম, কোন দলে কত জোর দেখে নেয় টুইটারে      
বল ছাড়া গোল হয়, মাংসে ডবল নুন;  সব্বাই আছে আজ হাইপারে  
ওরে কালুরে – আয় আজ মাঠে নামি, বলটা পাঠাই মাঠের বাহিরে      
হিপ হিপ হুররে ... হিপ হিপ হুররে ... মার কিক সজোরে।      
  
সোনারপুর
৩১/১০/২০২২