আমাকে আর লিখতে বল না
মানুষের বেদনায় আমার পাঁজরও সংক্রমিত
নীরবে ফুরিয়ে আসছে জীবনী শক্তির নির্যাস
অনুভুতির সুক্ষাতি সুক্ষ ইন্দ্রিয় গুলো মৃত প্রায়  
সভ্যতার যন্ত্রনা অন্তর পোড়ায়, এখন আর কাব্য নয়  
কিছুটা সময় যাক নীরবতায়;  নিঃসীম নিস্তব্ধতার অন্তরালে
সরস জিভ শুকিয়ে আসছে, বিষণ্ণ শরীরের সমস্ত তরল নিষ্প্রাণ    
নিস্তেজ শরীরে শক্তির নবীকরণে চাই নিরবিচ্ছিন্ন শান্তির সবুজ বাতাস  
আমাকে আর লিখতে বল না, প্রিয় মানুষের বিষণ্ণ সময়ের কাব্য সম্ভার।  


জানি না এই বিশ্ব কার দখলে যাবে,  কোটি কোটি অশরীরীর মুক্ত দখলে !
নাকি; প্রকৃতি নিজেকে গুছিয়ে নিতে আবর্তিত হবে মানব জন্মের আগের সময়ে
অযুত সময়ের ব্যবধানে নতুন সূর্যের কাছে প্রাণের ভিক্ষা চাইবে;  আবার মুখরিত হতে    
অথবা নীল জলরাশির ফেনিল স্বচ্ছতায় সকল মলিনতা ধুয়ে জাগবে নিষ্কলুষ দুটি পাতা
নতুন সভ্যতা পাবে শান্তির ছায়া;  সামুদ্রিক শেওলায় খুঁজে পাবে কাল চক্রের সহিষ্ণুতা    
যেখানে থাকবে না হিংসার ঊষ্ণ প্রপাত, থাকবে না বারুদের উগ্র আলিঙ্গনের অট্ট হাসি
থাকবেনা অসাম্যের অন্ধকার; অজস্র প্রাণের দীর্ঘশ্বাস, সবুজ স্নিগ্ধ ছায়ায় হাসবে সরস মাটি
তাজা নিঃশ্বাসে জাগবে ভুলে যাওয়া শব্দের ব্যাঞ্জনা, নিষ্পাপ রক্ত কণিকায় প্রাণের স্পন্দন খাঁটি
আমাকে আর লিখতে বল না, সময়ের আঁচড়ে দীর্ন মনন, অবরুদ্ধ প্রাণ বায়ুর গতি।


সোনারপুর
৫/০৮/২০২০      
.