সাধারণ ভাবনা ভাবুন আগে, বিশেষজ্ঞ হবার দরকার নেই
ধান ভাঙতে শিবের গীতের মতলবটা বুঝছে সবাই ।


মানুষের হাতে টাকা নেই, চাহিদা কী করে বাড়বে মশাই
সঞ্চয় যা ছিল হাতে সব গিয়েছে; কাজ বন্ধ, নেই কামাই
বে-রোজাগারে চাহিদা বাড়ে ? অর্থনীতির এ কোন দাওয়াই
জলের মত সহজ সত্য, এখনি শ্রমের বিনিময়ে নগদ চাই  
ভিক্ষার দানে হয়ত ভরছে পেট, শুয়ে বসে কাটছে সময়
পরিকল্পনার অনেক হ্যাপা, গাঁট পেরোতে তিন নয় ছয়
ব্লকে ব্লকে মহল্লা ধরে কাজ করিয়ে নগদ টাকা দিলে হাতে
আস্থা আসবে  দিনের শেষে,  করবে খরচ বিভিন্ন খাতে
লকডাউনে যেখানে যে মাল আছে পড়ে বিকিয়ে যাবে
ব্যবসায়ী শ্রমিক কৃষক একই সাথে উপকার পাবে।  


দেশে মাস মাইনের সংখ্যা কত, সেই তথ্য নয় অজানা
অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিক কত  সেটা কী আছে সঠিক জানা  
সংখ্যা সূত্রে করলে হিসাব কেনার ক্ষমতা এদের বেশী  
এরাই যদি ভুগতে থাকে চাহিদাতে কি কাটবে নিশি
দোকান বাজার খুললে হবে !  কিনবে কে; কোথায় টাকা !
দিনের শেষে দেখা যাবে দোকানি মারছে মাছি একা একা  
চারা লাগালেই হয়না ফসল, গাড়ি বাড়ি পরের ব্যাপার
ভারী ভারী নক্সা নয়; মানুষের চাই তাৎক্ষণিক উপকার।      


দেশের স্বার্থে মানুষের জন্য পরিকল্পনা আসুক পিছু পিছু
মানুষ জানে সময় লাগে, হটাত করেই হয় না কিছু  
জানা উচিত, কৃষি কাজ; মাছের চাষ বা অন্য যা কিছু আছে  
আলাদা আলাদা দক্ষতা লাগে প্রতিপদে; এ কথা নয় মিছে
পৌঁছে গেছে বিপদ বার্তা মিডিয়ার কল্যাণে দেশের সকল কোণে
অতিমারিতে ত্রস্ত মানুষ চলবে নিশ্চয়ই সতর্ক হয়ে নিয়ম মেনে
সদিচ্ছার পথ সহজ হবে, নইলে পরিকল্পনায় ভাবের ঘরে সিঁদ
মাটিতে থেকেই বুঝতে হবে, পান্ডিত্যে নয়, নয় অর্থনীতিবিদ।  

সোনারপুর
১৬.০৫.২০২০