অন্ধকারের কপাল চিরে কে এলি রে ঘরে ঘরে
মৃন্ময়ী না চিন্ময়ী, বুঝব তোরে কেমন করে
পারবি দিতে একটু স্নেহ, মমতা মাখা আঁচল খুলে
পারবি দিতে একটু খাবার, ক্ষুধা কাতর মুখে তুলে
পারবি দিতে একটু ছায়া, ঘুমে ঢলে পড়লে কায়া
মা হয়েছিস, দিবিনা তুই! দেখাস কেন মিথ্যে মায়া।।
বুঝেছি, রাগ করেছিস, দুঃখের কথা বলছি বলে
জানিসনে মা সত্যি কথা, কেমন করে মারছে ছলে
কেমন করে মরছি মাগো, জাত বেজাতের জাঁতায় পড়ে
কেমন করে মারছে মাগো, তোর সাধের ধর্ম ষাঁড়ে
কেমন করে মরছি মাগো, ধর্মা ধর্মের ধজ্জার তলে
কেমন করে মারছে মাগো, বজ্জাতেরা দলে বলে
সব দেখেও রইবি নীরব! করবিনে মা বিহিত কোন
রইবি চেয়ে ডাগর চোখে, সবই তো ঠিক চলছে যেন !!
বুঝিনে মা অত শত, জ্ঞান গম্মি কোথায় পাব
সবকিছু তো তোরি কাছে, তুই না দিলে কোথায় যাব
চাইছিনে মা অনেক কিছু, যা দিবি দে সমান করে
সবার মুখেই ফুটুক হাসি, যেন কেউ না যায় গোঁসা ঘরে
আশায় আশায় বুক বেঁধেছি, অপেক্ষায় আছি তোর ত্বরে
চিন্ময়ী হয়ে দাঁড়া দেখি হাসি হাসি, ভুলিয়ে দুঃখ রাশি রাশি
তোর আশীষেই জাগুক ভুবন, কেটে যাক অন্ধ নিশি
মা ছেলেতে কাটিয়ে দেব, দুঃখ সুখে, হেসে খেলে আপন ঘরে।।
সোনারপুর
২৫.০৯.২০১৭