টিয়া পাখিটা বড্ড ঠেঁটা, ঘাড় বেঁকিয়ে কটর কটর করে
বাড়ির সামনের পেয়ারা গাছটা; নিয়েছে দখল গায়ের জোরে  
ঝাপটে ডানা ঝাঁকে ঝাঁকে বন্ধুদের জুটিয়ে নিয়ে আসে
পাকা ডাঁসায় নজর তাদের, কাঁচা ছোঁয় না ভুলেও ভালোবেসে।  


চড়ুই গুলো সকাল হলেই জানালার গ্রিলের উপর এসে  
নানা কথার কিচির মিচিরে জানিয়ে যায় আছে রসে বসে
পায়রা গুলোর বকম বকম, বুলবুলিরা প্রেমের গল্প বলে  
শেডের ছায়ায় করে নাচানাচি ছাতারের দল ঝগড়া ভুলে ।  


ঘুঘু আসে ভর দুপুরে ছায়ার খোঁজে একটু জিরিয়ে নিতে  
দোয়েল ; ফিঙে  ওরাও আসে ; আছে বেশ সবাই মেতে  
সকাল না হতেই দাপাদাপি; ডেকে বলে ব্রেকফাস্ট কোথায়
কাকগুলো এমন পাজি রাত পোহালেই ঘুম ভাঙিয়ে দেয় ।


জলের গামলা; রুটির টুকরো; চালের খুঁদ রাখাই থাকে  
যখন খুশি সবাই মিলে খায়, নাচে মনের সুখে  
বেশ সাহসী এরা এখন; পালায় না কেউ হটাত দেখে
খোস মেজাজেই বসে থাকে এদিক সেদিক লোহার শিঁকে।  


টুনটুনি সে ভীষণ কুটুস, তবুও ভীষণ জোর গলায়
নেচে নেচে গন্ধ রাজের ডালে, পিক পিকেতে মাতায়  
আড়াল রেখেই দেখি ওদের নাচন কোঁদন, ফুর্তি বিলাস
আহা;  মানুষ যদি এমন হত, বইত না আর দীর্ঘশ্বাস।  


সোনারপুর
০৮.০৪.২০২০