পুরানো বই পত্র গুলো  গোছাতে গোছাতে
ভুলে যাওয়াএকটা ছোট্ট চিঠি পেলাম
নীল রঙের বিবর্ণ  ইনল্যান্ড খামটার উপর
চোখ পড়তেই তিরিশটা  বছর পার হোয়ে এলাম
আলোর গতির চেয়েও অনেক গুন বেশী গতিতে।।


এটাই বোধ হয় শেষ চিঠি ছিল ওর
খুব ভালো বন্ধুত্ব ছিল আমাদের
সাংকেতিক ভাষার পড়ুয়া ছিলাম সবাই
একটু আধটু লিখতাম তাই
কি লিখেছি জানতে চাইতো
কবিতা পড়তে ভীষন ভালোবাসতো।।


এতটা সময় পার হোয়ে গেল !
সিনেমার মত, এক একটা  ঘটনার
ছবি প্রানবন্ত হয়ে ওঠে স্মৃ্তির পর্দায়
পাশাপাশি শ্রেনী কক্ষে ডিক্টেশন নেওয়া থেকে
বানান ভুল করলে, আলতো করে বলতো পন্ডিত !


অনেক সময় ক্লাশ শেষে ওদের বাড়ীতে যেতাম
মাসিমার হাতের কুমড়া ফুলের  বড়া সহযোগে
বর্ষার দূপুরে গরম গরম খিচুড়ির স্বাদ
এক লহমায় ফিরে এল, একি কম পাওয়া !
সিগারেট ও আনিয়ে দিত তার কবির জন্য
মজা কোরে বলত, লিখতে হোলে সিগারেট চাই।।


দূপুরে ভোজন সেরে খোশ গল্প, বৌ্দিরাও যোগ দিত
চাকরীর  প্রথম মাসের মাহিনা দিয়ে কি হবে,
কে কি করতে ভালোবাসি
আরো অনেক কথা, আমাকে দ্বিধাহীন বলা
হাসা হাসি মসকরা, নানা ভাবে সময় কাটানো।।


ঐ যা! চিঠির কথা গুলি তো পড়তে ভুলে গেছি
প্রিয় কবি, ভালো থেকো, বয়স কাছাকাছি,
হয়ত তোমার চাহিদা মেটাতে পারবোনা
আমায় ক্ষমা করে দিও অক্ষম ভেবে
তোমার একান্ত অনুরাগী বাদল।।