ওরা কমলা,  কাজ করে অন্যের জমিতে
ধান রোয়, নিড়ানি দেয়, ধান কাটে
দৈনিক মজুরীতে চৌপর (৮ থেকে ৪টা) সর্তে
একটু পান্তা খেয়ে চলে আসে সকাল ৮টায়
সারা দিন রোদে জলে কাজ করে ধানের ক্ষেতে।।


দেখে মনে হয় , একটা গোটা পাহাড় কেটে কেটে
ঈশ্বর ওদের তৈ্রী করেছে আপন খেয়ালে
সুঠাম কষ্টি পাথরের রঙে গঠিত শরীরে
হাঁটুর উপরে  কাপড় টা তুলে, আঁচল কটিতে জড়িয়ে
একটা বিড়ি জ্বালিয়ে হাঁটু ডোবা জলে মাঠে নামে।।  


সারা দিন কোমর  নিচু করে কাজ
পিছনে দাঁড়িয়ে আমরা,  হাতে খোলা বীজপাতা
মাঝে বিশ্রাম নিতে একটা বিড়ি ধরায় একটু ডাঙ্গায় উঠে
ওরা মাঝে মাঝে হাসি মসকরা ও করে কষ্ট ভোলার ছলে
বলে এই ছোঁড়া, কিছু দেখছিস লাকি বটে,
বিয়া করবি, খিলখিল করে নিস্পাপ হেসে ওঠে ।।


ওদের দলের কেউ কেউ আড় চোখে তাকায়
পাশের জন  শুধোয়, এ কমলা, উটা কে বটে রে
আরে উটা তো সাবির বেটা, তু  চিলিস লাই বটে
উটা তো পড়ালিখা করে, আসে,  দাদুর কাজে সাহায্য হবেক
৪টার মটর  লঞ্চ ঘাটে লাগে, ওরা কাজ ছাড়ে, ঘরে যাবে
তিন নন্বরে নদীর পাড়ে,  ফিরবে সারি সারি কুঁড়ে ঘরে।।