দৃ্ষ্টি নন্দন কিছুই ছিলনা ওদের
না পোশাক, না গায়ের রং, না অবয়ব,না খাবার
যা নেই, তা নিয়ে  ছিলনা এতোটুকু আপসোস
ছিল সরলতা,নির্মল হাসি, প্রাণখোলা মনোভাব  
খালের শাপলা, মাঠের শাক, বিলের মাছ
এই দিয়েই প্রতি দিনের খাবার, সাথে মোটা চালের ভাত।।


উৎসবে ওরাও সাজতো, হাট থেকে কেনা সস্তা প্রসাধনী
রঙ্গীন  সুতির শাড়ী আর অবশ্যই লাল বা গোলাপি ফিতে
সারাদিন অন্যের ক্ষেতে কাজ কোরে বিকালে বাড়ী ফিরে
একটু সেজে গুজে ছেলে পুলেদের নিয়ে অনেকটা রাস্তা  হেঁটে হাটখোলায় যাওয়া, হ্যাজাক লাইটের আলোয় দূর্গা দেখতে  
অন্য পাড়ার মানুষদের সাথে হাটখোলায় আনন্দে মাততে ।।


যখন  চাষের কাজ থাকেনা, নারী-পুরুষ সবাই
ঘরের পিছনের গাংয়ে ছোট জাল টেনে মীন ধরে
কেউ বা শালুক তুলে সিদ্ধ করে পেটটা ভরাতে
তবুও থাকত ওরা আপন মনেই ভীষন খুশিতে
ওদের মাদলের বোল শুনে বোঝা যেত নবান্ন আসছে
ঘরে ঘরে হাড়িয়ার হুল্লোড় আর নূতন গুড়ের গন্ধে।।