শহরের কেন্দ্র হতে অনেক দূরে না হলেও ছিল অগম্য প্রায়
৫০ বা ৬০ কিলোমিটার আসতে যেতে পুরো এক বেলা
১০ কিলোমিটার বা তার বেশী হেঁটে বাকীটা বাসে, ট্রেনে
রাস্তা বলতে, বর্ষায় হাঁটু কাদা অন্য সময় ধূলো  পা ডোবা
তবুও মানুষ যেতেন শহরে নানা কাজে, হয়ে নিরুপায়।।


বর্ষাটা বাদ দিলে, কাদা একটু শুকালে দেখা মিলত অনেকের
মনোহারি ওলা, লেপওলা, বরফওলা আরো নানা ফেরিওলা
ধান পাকছে, মাঠে কাজ লাগছে, হাতে রোজগার আসছে
দিগন্ত জোড়া মাঠে চারি দিকে এখন সোনার  ছড়া ছড়ি  
তবে আর দেরী কেন  সন্ধ্যা বেলা ধানের বদলে মুড়ি ।।


রাস্তার পাশে  কুপি জালা দোকান বা অনেক বাড়ি
একটা পাত্রে ধান টা মেপে নিয়ে, পাত্র মেপে দিত মুড়ি
ছেলের দল করত এ সব দুষ্টামি কেউ ভাবত  না চুরি
মেয়েরা নানা উপায়ে সং গ্রহ  করা ধান জমিয়ে রাখত,
পরে বেচে দিয়ে কিনবে রকমারি সাজের জিনিস -কাঁচের চুড়ি।।


দেখতে দেখতে শীত আসে,আসে নবান্ন, শ্রীপঞ্চমী মাঘ মাসে
কচি-কাঁচারা মেতে ওঠে  সরস্বতী আরাধনায় না হোলেও হাতে খড়ি
তাতে কি , শীতের খেঁজুর রস সাথে চাই চাই শ্রীপঞ্চমী তে চিড়া
শহর তো নয় এযে অনেক দূরের গ্রাম, ভরসা সেই চিড়া ওলা
টাকা পয়সা নয় চিড়া পাবে, চাল দিলে  পাত্র মেপে মেপে।।