কৃষ্ণ-পক্ষের প্রতিপদের তরল  জোৎস্নায় প্লাবিত চরাচর,
ধানের পাতা গুলো পাতলা  শিশিরে আপ্লুত,
সদ্য আঠারোয় পা দেওয়া তরুনীর মত,একে অন্যের গায়ে
ক্ষয়ে যাওয়া পূর্নিমা চাঁদের শেষ গন্ধ টুকু নিতে তৎপর।।  


নদীতে এখন প্রায় শেষ ভাটার টান,
একটু পরেই  কোথাও কোথাও বা  জাগবে চর
এই সুরেন ভেড়া ভেড়া, আর কত ঘুমাবিরে শালা
বাঁধের উপর থেকে সাথীদের হাঁক দেয় নেদো সরদার।।


একটা হাঊস বোটের মতই, এটা বাঁধ পরিদর্শনের কাজে লাগে
ওরা, বেলদার  পদে  চাকরী করে, যাবে অনেক দূরে আপিসে
মাসের মাহিনা আনতে, বোট ছাড়ে, দুই জন দাঁড়ে, নেদো হালে
তর তরিয়ে চলে দাঁড়ের টানে,ভাটার টান যাবার পথে সুজানে ।।


আঁকা বাঁকা নদী টার দুপাশের চরে, স্রোতে জোৎস্না খেলা করে
কোথাও বা হটাৎ রাত জাগা কোন পাখীর ফ্যাঁস ফেঁসিয়ে ডাক,
দাঁড়ের শব্দ আর নৌকার  ছলাৎ ছলাৎ  নিঃশব্দ  রাত কে ভাঙ্গে
আর ভাঙ্গে আপন খেয়ালে, ঝরে পড়া নৈ্সর্গিক জোৎস্নার বুকে ।।