দুর ছাই ভাল্লেগেনা, বইয়ের পাতায় মন বসেনা
চিল্লাইয়া যতই পড়ি, কারুর কানে ঢোকেনা
পন্ডিত আমায় কোরবে ওরা, আমার কথা বোঝেনা
একটু হোলেই এদিক ওদিক বলে, পোলাডা মানুষ হবেনা।।


বাবা, কাকার অফিস ছুটি, বেলা দশটায় ডাকছে নাক
আমিই হোলাম দাবার গুঁটি আমায় সবাই কোরছে তাক
সকাল বেলায় পোড়তে বসি, হোলেও আমি অখুশি
ভিতর ভিতর গুমরে মরি  হলেও চোখ বান ভাসি।।


পাড়ার ঐ ঝন্টু, মদন সাইকেল শেখে পাশের মাঠে
হল্লা গুল্লা করছে সবাই কেউ বা আছে লাটাই হাতে
কিত কিত খ্যালে ঝুম্পা টুম্পা, পাশের বাড়ির বারান্দায়
দোকান দিয়া আছি বইসা, মন বসে কি বইয়ের পাতায়।।


রজব আলি হাঁক দিয়ে যায় ব্যাচে হরেক আচার
মনটা করে উড়ু উড়ু  বড়রা সব নাচার
ঘন্টা শুনে বুঝতে পারি আসছে হাওয়াই মেঠাই
নেড়া গেঁড়া পিছে ছোটে আমার কেবল উপায় নাই।।


ঢং ঢং ঢং বাজছে কাঁসর আসছে বুড়া বাসন ওলা
মা, বড়মা, খালা,ফুপু ডাকছে তাকে, বোলেছে নামা
কেউ বা দেখে গেলাস বাটি, কেউ বা শুধু কিনছে ঘটি
খাতা দেখে কয় যে বুড়া, আগের মালের আছে বাকি।।


মামার মেয়ে রুম্পা দিদি তেঁতুল মেখে টাখনা মারে
আমার এলেও জিভে জল মনের কথা কই যে কারে
আধা ঘন্টা আছে বাকি, তারপর আমার হবে  ছুটি
অঙ্ক গুলান কসছি তাই, করছি বড়ই হুটো পুটি।।


নারকেল গাছে পাখির ছানা, ডাকছে আমায় জলদি আয়
পেয়ারা গাছে ফাঁদ  দিয়েছি ধোরবো বলে ময়না টায়
বুঝিনা ছাই লেখা পড়া কে কোরেছে আবিস্কার
জানলে পরে, চাম বাঁটুলে কইরা  দিমু পগার পার।।


( কবিতা টি  কবি রুম্পা শিমুল কে উৎসর্গ  কোরলাম)