গলা ছেড়ে হাঁক দেয় ধানের ঢেঁকি থেকে
জলের ঘটি নিয়ে আয়,এই মাগী গেলি কোথায়,
পিপাসায় অধীর প্রতিমার মা দুরন্ত বৈশাখে
ঠান্ডা জল এনে কল থেকে, ভাবে এই দেবে।।
দড়ি ছাড়া ইজের, গোমড়া দিয়ে পরে
একটা অনেক পুরানো জামা উপরে
উঠানের টগর গাছ থেকে একটা ফুল ছিঁড়ে
পাশের বাড়ীর বারান্দায় খেলতে গেছে ।।
কতই বা হবে সাত কিম্বা আট, খেলার সাথী
এ বাড়ীর খোকা মাথায় লম্বা হোলেও বয়স ছয়
হাঁড়ি কুড়ি, কিত কিত, ইকির মিকির খেলা ছেড়ে,
বলে আজ ছেলে হবে, তুই দেখনা ,আমি জানি ।।
মাটিতে শুয়ে ইজেরের নিচ থেকে ফুল টা বার করে
রাখে কোনায় থাকা মাকড়সার জালে, বলে দোলা
খোকা তুই দ্যাখ , জল দিয়ে আসি মা ডাকছে
লাফিয়ে নেমে দেয় দৌড়, খোকা শুধু চেয়ে থাকে।।
ভাবে এ আবার কি খেলা, নূতন কিছুই হবে
পতি ফিরে আসে, শুধোয় ঘুমিয়েছে ? খোকা শুধু দ্যাখে
পতি বোলে চলে, কাপড় ঘিরে মারও তো
ভাই হয়েছিল আমি দেখেছি, তুই দেখিস নি ..।।