প্রায় চার দশক পেরিয়ে গেল
দিকে দিকে পরিবর্তন, দেহে-মনে,
অমলিন স্মৃ্তি তবু কথা বলে কানে কানে
বাঁধ ভাঙ্গা জোৎস্নায় প্লাবিত কোজাগরী
প্লাবিত কোরে ছিল নীল, প্রথম বন্যার তান্ডবে।।


তুমি হটাৎই এসেছিলে, আমার বোঝারও আগে
তোমার ২৪, আমাকে ভাসিয়েছিল স্বপ্নের আগে আগে
দুর, বহু দূরে সারা রাতের অঝোর ধারার বর্ষনে
দুপাড়ের রুক্ষ বালির বাঁধ তার সব টুকু শুষে নিয়ে ছিল
তবু আশা মেটেনি, ২৪শের আকাশে আর মেঘ ছিলনা ।।


মনে পড়লে, ভীষন ভাবে শিহরিত হই এখনো
প্রতিবারের বৃ্ষ্টির ফোঁটায় ধুয়ে যাচ্ছিল সব সত্তা
হারিয়ে যাচ্ছিলাম অনাস্বাদিত জীবনের  সুখে
বৃ্ষ্টিতে ভিজতে ভিজতে, যদি আরো দীর্ঘ হত সে রাত
আম গাছের পাশে এক তলার কোনায়, কোনার ঘরে।।


সূর্য ওঠার আগেই তুমি উড়ে গিয়েছিলে
সারা সকাল, দূপুর,  বারে বারে খুঁজেছিলাম পাশ বালিশে
অস্থির চিত্তে, উদাসী চোখে দাঁড়িয়েছিলাম আয়নার সামনে
কমলা ঠোঁটে ক্ষত, গালে মুক্তা মালার দাগ মেলায়নি
সোঁদা গন্ধ পাচ্ছিলাম বুনো ২৪শের রাত ভোর বৃষ্টির ।।


অনেক পানি বয়েছে গত চার দশকে, সবুজ হয়েছে মাটি
ঘাত অভিঘাতে বহু পথ দিয়েছি পাড়ি, মনে পড়ে যায়
এলে কখনো, আমার সদ্য ১৯ পেরানোর বাসায় আম গাছের পাশে,
ঘরটি আজ ভগ্ন দশায়, আমারি মত, দেহে মনে
নীলের বুকে আর বন্যা আসবেনা, এখন শুধুই বালি।।