সুহাস, সুহাস,  এ ডাক সুহাসের চেনা
ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে সপ্তাহের ছয় দিন
এক দিন শুনতে হয়না, রবিবার  ছুটি
একটা ঘোরের মধ্যে দিন গুলো কাটে
তার সম বয়সী মনিব কন্যার ডাকে।।


বেশ কাটছিল দিন গুলো, সেই বছর সাত থেকে
গরু নিয়ে মাঠে যাওয়া, গোয়াল সাফ সুতরো
বাবলার নিচে বসে গরু গুলোকে চোখে চোখে রাখা
মনিবের বাড়িতেই থাকা-খাওয়া-পরা, মাহিনা দশ টাকা
জানত না সে ১৫ ছু্ঁয়েছে, আদিবাসী বালক নয়
সুহাস, এখন পুরুষের শক্তি অনুভব করে এই ডাকে।।


কাছাকাছি থাকে, না হোলে দিদি রাগ করে  
দৌ্ড়ে যায় এক ডাকে, আয়নার সামনে দিদি
হুকটা টা লাগিয়ে দিয়েই, এক ছুটে আবার কাজে
সুহাস, অনেক কথা ভাবে, কাকেই বা বলে, ভাবে
দিদিতো মানা করেছে, কাউকে না বোলতে
দিদি, সুগন্ধি পুরানো সাবান ওকে দেয় ভালোবেসে ।।


সুহাস বুঝতে পারছে, একটা ভীষন অবস্থা, কি করে
ভীষন ঝড় জলের দিন, সুহাস সবে গোয়ালে এসেছে
দিদি বইয়ের ব্যাগ নিয়েই গোয়ালে ঢোকে বৃষ্টি বাঁচাতে,
এ দিকটা কেউ আসেনা, পিছন থেকে দু হাতে জড়িয়ে ধরে,
সুহাস ভিতরে ভিতরে কাঁপছে, ভীষন অস্থির, ঘাড়ে ঊষ্ণ শ্বাস
অনেক ক্ষণ, দিদি ছেড়ে দেয়, বাড়িতে ঢুকে যায় ।।  


বর্ষার গ্রাম, সন্ধ্যাতেই অনেক রাত, সবাই ঘুমিয়ে পড়ে
পিছনের বারান্দায় সুহাস, ঘুম আসছে না ভীষন অস্থির
এগিয়ে যায় পূর্ব দিকের বারান্দায় যেখানে দিদি থাকে
বাঁশের খুঁটি তে নখের টোকা, বেড়ার দরজা ফাঁক হয়
অঝোর বর্ষার রাত, অ-সম তবু অসীম সে ক্ষ্ন প্লাবিত
এ দিক ওদিক হয়ে যায়, ফিরে আসে ঘুমায় সুহাস।।