স্বপ্নে, দুঃস্বপ্নে সদা আছো জাগ্রত মনে
শৃংখলা বোধ, এটাই তো মহান উপদেশের মানে
যে, যেভাবে বোঝে তোমায়, উপলব্ধি দিয়েছ প্রতি প্রাণে
অনল -অনিলে ব্যাপিয়া স্বর্গ-মর্ত-পাতাল লয়ে করতলে
আত্মার-আত্মীয় তুমি জনমে মরণে - অতি শুভ ক্ষনে
বার বার এসেছ ধরায় করিতে রহম - কলুষ মোচনে।।


হানাহানি, হিংসা, ভিন্নতা  এ নহে তোমা দীক্ষা
তবু কেন জাগে ভেদাভেদ - অহরহ মুখরিত ভুবন
কে আছে কোথায়, সাজায়ে নানা উপচার দেয় জানান
মনগড়া কথা - পুঁথি-কেতাব গাদা গাদা, চলে সমীক্ষা
ভালোবাসা-প্রেমে,  বার বার দেখতে চেয়ছ নিজেকে
কেন তবে সেই মাটি,  ভেজে শানিত ধারায়-মহত্তের বৈভবে।।


রুপহীন, শুধুই অনুভবে- স্পর্শময় চেতনার অবকাশে
তোমার নামেই মাতে  লক্ষহীন, আর্বাচিন মহা উল্লাসে
না জেনে, না বুঝে,  বিধানের খাতা খুলে, অর্ধ শিক্ষা রাশি রাশি
আবোল-তাবোল, ঘটায়ে প্রমাদ দুহাতে রুধির ধারা
তোমাতেই সঁপে পাপ  - আহ্লাদিত মন করে অবগাহন
অশিক্ষার পাতায় পাতায় ঢেকে দেয় তোমা হাসি।।