পঁচিশে বৈশাখ বাঙালি মননে বেশ অন্য রকম
আবেগে, উছ্বাসে, কথায়, কবিতায়, গুরুর স্মরন
সু-বিশাল দীর্ঘ ছায়ায় রক্ষিত এক চেতনার পথ
বিরহ, প্রেম, প্রকৃতি সবেতেই জড়িয়ে সে রঙ, গৎ
বিশ্ববাসী দিয়েছে স্বীকৃতি, বাঙালীর মন ওঠে নাচি
নাড়া দিয়ে যায় হৃদয়, প্রেম আসে মনে, বসন্তে ওঠে ডাকি
শ্রদ্ধা তোমায় হে মহান, জিজ্ঞাসি তোমায়, জন্মান্তরে
কোথা তুমি, হে প্রেমিক, তুমি কি শুনিছ কবি !!


তোমার সাধনার সুর আজি বিকৃ্ত, বাজে রাস্তার সিগনালে
উদ্দেশ্য তার ছিলনা এমন, তবু তা হয়েছে, উৎসাহ-গোলেমালে
খর রোদের তপ্ত দাবানলে যখন পুড়ছে চাঁদি, পথিক খোঁজে ছায়া,
সিগনালে বেজে চলে " আমার বেলা যে যায় সাঁঝ বেলাতে"
জেরবার শহর মিটিং-মিছিলে -পুলিসের লাঠি আর ঢালে-মঞ্ছে দাঁড়ায়ে গুনী
তখনও বাজে বেসুরো যন্ত্রে " তাই দিয়ে সুরে সুরে রচি মম ফাল্গুনি"
কাঁদানে-গ্যাসের তীব্র কটু ঝাঁজে জন-গনেশের নেইকো কোন গতি
চৌ-রাস্তার মোড়ে - তখনো বাজে " আলোর স্রোতে পাল তুলেছে
হাজার প্রজাপতি "
বড় মানুষের আগমনে - রাস্তা হাঁপায় - জামে মানুষ ধৈর্য হারা
তীব্র আওয়াজে বাজে " ওগো নদী আপন বেগে পাগল পারা "


এক কথা কাহারে বোঝাই, নেই কোন সাড়া, গুনীদের মনে
নির্গুন সাধারন, দূরে সরে থাকি, মুখ লুকাই ব্যাথার কাননে।।
শ্রদ্ধা তোমায় গুরুদেব, তোমাকে ভাঙিয়ে লুটছে অর্থ
সুধী জ্ঞানী জন, ব্যবসায়ী, ভেক ধরা সাধু- মহাজনে।।