সদা দেখি সেই চিরায়াত হাসি
নেই কি তোর কোন অভিমান
বলনা জননী, কোথা হতে শিখেছিলি
যদি হয়ও সে কু-সন্তান
চির অমলিন সদা হাসিমুখে
দুহাত বাড়ায়ে আছিস আয় বাছা ডাকে।।


এত মমতা কোথাহতে পেলি
ক্ষয় নাই যার দুঃখ-শোক-তাপে
করিয়া ধারন সকল কলুষ
চেয়েছিস সদাই সন্তান থাক সুখে
উদার ছন্দে পরমানন্দে আগলিয়ে রাখিস
সন্তানে তোর অমৃত উৎস মুখে ।।  


নিত্য অভাবের কালে আপন সুখ ত্যাজি  
নিযুত বর্ষ ব্যাপি হলুদ কষ্ট আঁচলে ঢাকি
মৃত্যু-যজ্ঞেও অবিচল থাকিস কেমনে
কোন সে আশার ছলনে ভুলি নিরবধি
নয়ন নীরে বুক ভেসে গেলে
নিরবে মানিস যন্ত্রনা যত হয়ে বারিধি।।


পদে পদে জীবনের তীব্র ঊজান স্রোতে
আগুলিয়া বাছারে হৃদয়ের কাছে
ধরিয়া প্রাণপনে শীর্ন করপুটে
না ভাবিয়া মত্ত কালের আগে-পিছে  
দিতে চাস স্নেহসুধা শুভ্র শেফালি সম  
বাছা, আয় কাছে আয়, জুড়া এ হৃদয় মম।।  


ক্ষীন দৃষ্টি, অশক্ত শরীর, জীবনের শেষ পাদে
জরায় ত্রস্ত দিবা-রাত্রি অসহনীয় কাটে
তবু সে এলে কাছে শান্তির হাসি ফোটে  
কোন মন্ত্রবলে উঠে শীর্নকর সন্তান শিরে
সুখে যেন থাকে বাছা, চিরদিন ভাল থাক  
সময় ডাকছে, আমি চলি, একবার মা বলে ডাক।।