চল মন, ঘুরে আসি ফেলে আসা পথের সাথে,  অলস বেলায়
কিছু গল্প শুনে নিই,  দুহাত উঁচিয়ে আকাশ দেখা অশ্বথের থেকে
ওর অসমান অতিকায় শরীরে জড়িয়ে থাকা প্রাগ-ঐতিহাসিক সময়,
পাকে পাকে জড়ানো লাল-হলুদ সুতোর মর্ম কথা, আত্মার ফেলে যাওয়া আবাসে
নীল মাছির আনাগোনা, গলায় দড়িবাঁধা রংচটা দেবীঘটে হাসির নির্ঘন্ট।।

চল মন, সাঁতরে আসি পদ্মপুকুরে, কলার ভেলায় শখের নাও
জল গিলতে গিলতে ডুব সাঁতারে লুকোচুরি, মারা-মারি
বে-হুঁশ জরেও মায়ের ধমক- আর জ্বালাসনি, আবার গিয়ে দেখিস
তোর একদিন - কি আমার একদিন,  গিলে ফেলি নুন বার্লি,      
পাঁচ পয়সার টিকিটে, ডাক্তার বাবুর একদাগ মিকচার, দিনে তিন বার।।  


গ্রীষ্মের ঠাঠা দুপুর, জামের পলকা ডাল ভেঙ্গে সটান নিচে  
হাতের কাছেই কেটে-ছড়ে যাওয়ার ওষুধ -  ধঞ্চের আঠা,
জার্মেনি পাতার রস, নয়ত নিজের গেঞ্জি ছিঁড়ে চেপে বাঁধা
তবু হাতের কাপড়ের থলিটা ভারাতেই হবে, কে খাবে,
কে বকবে- কে মারবে, নানান উপদেশ, ও সব কি মনে থাকে !!


পাকা-আমড়ার ডালে আঁকশি বাধিয়ে নাড়া দেওয়া
টুপ-টাপ ঝরে পড়া আমড়ায় জিভের জলসায় তৃপ্তির চুক চুক  
সন্ধ্যে হতে হতেই চোখ লাল, পৃথিবী পাল্টাচ্ছে, ছোট মুখে বড় বড় হাই,
বই, সঙ্গী খোঁজে খেঁজুর পাতার চাটাইয়ে, যে তখন স্বপ্নে দেখছে, ঐ ডালে...
যা ঐ বয়সটাই পারে, অন্য কেউ নয়। অন্য কেউ নয়।।