না, কোন মহাজাগতিক বা আণবিক শব্দ তরঙ্গের কথা নয়  
ভাষা ভেদে মালা গাঁথা বর্ণেই অফুরান অনন্ত শক্তির প্রকাশ হয়  
দলবদ্ধ বা মিলিত শক্তির কথা বলছি, যা শ্রবনে মানব মননে তৎক্ষণাৎ
মনের ক্রোধ প্রাণঘাতী হয় অথবা আন্তরিক শ্রদ্ধায় নুয়ে পড়ে অকস্মাৎ।      


জ্ঞানীর সহচর্যে কোন সভায় অথবা ধর্মীয় আলোচনায় মানুষ বিভোর  
গুরু গম্ভীর সভায় শ্রতারা তন্ময় শাস্ত্র কথায়, বাহ্য জ্ঞান লুপ্তের লহর    
যদি হয় বেদ পুরাণ বাইবেল অথবা কোরান সুক্তে প্রভুর স্তুতি; আস্থা    
এ নয় কি শব্দের অসীম শক্তি ! তর্ক বিতর্কের অবকাশ হীন শুধুই মুগ্ধতা


আবার ঠিক উল্টো পথেও প্রমাণ করা যায় প্রতি পদক্ষেপে শব্দের শক্তি
দীর্ঘ সময় নয়, প্রয়োজন নেই গ্রন্থের, গুরু গম্ভীর সভায় মাত্র একটি উক্তি
তন্ময় নীরবতা ভেঙে হটাত যদি কেহ চিৎকার করে বলে “ধুস শালা”
নিশ্চয়ই প্রতিটি শান্ত সুন্দর মন তৎক্ষণাৎ ক্রোধে জাগবে সমস্বরে মেলা।    


সোনারপুর
০১/১১/২০২২