লাঠিতে ঝুলিয়ে জখম বরাটা কাঁধে তোলে,  দুজনে সেরেস্তার দিকে যায়    
জয় বলে বাবু হটাত ডাকল কেন ? নিধি বলে এর আর একটা দাঁত কোথায়
লাঠির ঘায়ে ভেঙেছে, ওতেই ভিরমি খেয়েছে, তারপর ধরেছিলুম গলা চেপে
বিপদ বুঝেই ছাড়িনি,  না হলে কি হত জানিনে,  যে ভাবে এসেছিল ক্ষেপে  
সেরেস্তার উঠোনে নামিয়ে রেখে দুজনেই এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ায় বাবুর সামনে  
তোদের দেরী হল যে, কখন পাঠিয়েছি ডাকতে, আজ্ঞে বিপদ হয়েছেল বাগানে  
বাবু ওদের দিকে তাকিয়ে বলে কিসের বিপদ ! নিধি আঙুল তুলে দেখায় উঠোনে
সোজা হয়ে বসেন বাবু, কি করে মারলি ? আজ্ঞে, জয় করেছে জখম লাঠির ঘায়ে
বাবু উঠোনে নামেন, এগিয়ে গিয়ে দেখে বলেন,  হুম,  জয় অনেক দুধ খেয়েছে  
আচ্ছা, ঝোড়োকে খবর পাঠা, আর এটার  ব্যবস্থা কর,  এখনো বেঁচে আছে ।  


বাবু আবার গিয়ে বসেন আরাম কেদারায়, জয় কে বলেন তুই আয়, কথা আছে
জয় পিছু পিছু এগিয়ে গিয়ে বসে মাটির বারান্দায় মাথা নিচু করে, বাবুর কাছে
বাবু জিজ্ঞাস করেন তোর কিছু হয়নি তো !  হিংস্র জন্তুর সাথে লড়াই সোজা নয়  
তোকে কলকাতায় যেতে হবে, পারবি ! কিরে পারবি তো ? চুপ করে থাকে জয়  
আরে না না একা নয়;  আমার সঙ্গে যাবি, জয়ের মুখে হাসি ফোটে, কাটে ভয়
মাস খানেক থাকব এবার, ঘুরবি ফিরবি কত কিছু দেখবি, মাথা নাড়ে জয়
আজকে একবার বাড়ি যাস সময় করে, তোর বাবাকে জানিয়ে আসিস কথাটা
আজ্ঞে বলে উঠে দাঁড়ায় জয়, ঠিক আছে যা এখন,  আর সর্দার কে ডাক পাঠা
নায়েব বটুক মিত্তির এসে দাঁড়ায় খাতা হাতে, আজ্ঞে হিসেবটা দেখে নেন যদি
বাবু না তাকিয়েই বলেন রেখে যান, পেন্নাম কত্তা, ঝোড়ো এসে দাঁড়ায়, পিছে নিধি
মহী সর্দার এসে পেন্নাম ঠুকে দাঁড়ায়, ওটারে নিয়ে যা, বাবু দেখায় আঙুল তুলে  
মহী ও জয় এগিয়ে যায়, এ একলার কম্ম নয় – ধরতি হবে ভায়া, সর্দার বলে  
বোট গুছিয়ে রাখিস ঝোড়ো, আসছে বুধবার মাতলা যেতে হবে, সকালের গনে
নিধি তোর ফর্দ গুছিয়ে নিস, এই বোটেই যাবি, মিত্তির - খাতা রইল এখানে।  


সোনারপুর
৩০/৬/২১