অজস্র নক্ষত্র রাজি নিশ্চল মুগ্ধতায় রাত জাগে আকাশ গঙ্গায়  
শিশির পতনের শব্দ নিশির বুক চিরে ঢেউ তোলে বাতাসের গায়
শুকতারা হাসি মুখে নিশা অবসানের কাব্য লেখে পূবের পাতায়
ডাক দেয় ব্যাকুল সকাল ওঠ ওঠ, কাজের সময় যে বয়ে যায় ।  


নিধির ডাকে সকলেই জাগে, নৌকো ভেড়ায় সাগর; বাঁধের গায়ে সরে    
কাছারির মাল নামিয়ে নৌকো ছাড়ে, নিধি বলে মিতেদের নামাস ঠিক করে      
জায়গা মত নৌকা লাগায় সাগর, বলাই অপেক্ষায় ছিল বাঁধের উপর
একে একে নেমে যায় চার বন্ধু,  হাতে হাতে যাবতীয় মাল পত্তর
হরি হাসি মুখে বলে দাদা ভালো তো !  পৌঁছে যায় বলাইয়ের ঘর
উঠোনে মাদুর পড়ে; কথা হয়, বলাই বলে মানিয়ে নিও তোমরা নয় পর
একপো বেলায় সকলেই যায় মিঠে খালের পাড়ে, বন্ধুদের জায়গা দেখায়
তিন বন্ধুই বলে ভালো, তোর কপাল ফিরল হরি, থাকবি বেশ মজায়।

পাঁচ জনে আলোচনা করে; ঠিক হয়,  কোন দিকে কেমন হবে ঘর
দড়ি ধরে মাপ জোক করে খোঁটা পোতা হয়, কাজ শুরুর সয় না তর
মাটির দেওয়ালে আটচালা হবে, পাশে রান্নার ঘর, চারদিকে ছিটের বেড়া
হিসেব করে মোটামুটি বুঝে নেয় হরি;  সময় টাকায় কতটা যাবে করা
বলাই বলে; দেখ পচ্চিমের পানে তিন খান ঘর উঠচে তর তর করে
হরি বলে হুঁ, ওরা কোথাকার লোক ! শুনিচি দূরের, আলাপ হবে পরে
হরি বন্ধুদের বলে চল ঐ খালের ধারে, দেখে আসি কেটে রাখা গাছ গুলো
বলাই বলে যাও দেকে এসো, খালের কাছে যেতেই একটা পচা গন্ধ এলো
এদিক ওদিক চায় সবাই, হটাৎ যতিন বলে;  ঐ দেখ, ঐ যে খালের ও পারে
ছড়ানো ছেটানো হাড়গোড়, মনে হয় কেউ ফেলে গেছে, বাকিরা শোনে চুপ করে    
হরি গলা তুলে বলাই কে ডাক দেয়, বলাই পৌঁছে অস্ফুটে বলে, এ কি হোল
এদিকি তো আসে না; কি জানি, তেড়ে তুড়ে এনে; শালা ফাঁকায় এসে খেল !    
নিতাই বলে দাদা; এ কি হরিণের হাড়গোড় ! বলাই মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলে
বেলা মাথার উপর, বলাই বলে চলো ভাইরা ফেরা যাক, বন বাদাড়ে এ সব চলে ।  


সোনারপুর  
২২/০৮/২০২০