ষোল আনা খবর নিল নায়েব, ফিরলে নিধি সরদার
নিধি জানালো, কথা হয়েছে গুনোর সঙ্গে হরির, চমকদার
নায়েব বলল ; খবর দাও, কাছারিতে সে আসে যেন সকালে  
সব ব্যবস্থা হবে যাবে, আমি বাবুকে রাখব বোলে ।
সকাল বেলায় হরি এলো সঙ্গে এলো বলাই, সম্পর্কে সে শালা
দুহাত জুড়ে দাঁড়িয়ে তফাৎ পেন্নাম জানায়; শুনে বাবুর গলা  
বাবু বলেন; পারবে থাকতে? মিঠে খালের পশ্চিম পাড়ে বেঁধে নাও ঘর
জায়গাটা বেশ ঢিপির মত, নায়েব সব বলে দেবে, লোক লস্কর
বাবু বলেন, বলাইয়ের কি খবর?  তুই হরিকে চিনিস নাকি ?  
মাথা নাড়ে বলাই, জোড় হাতে বলে, আঁজ্ঞে, হরি সম্পকে ভগ্নীপতি।


নায়েব বলল বোস হরি, তোরে কটা কথা কই, পরিবারে কজন  
আঁজ্ঞে বাবু;  দুই ছেলে, বৌ আর আমি – সংসারে চার জন
তা ভিটে ছেড়ে এই জল জঙ্গলে কেন আসার মন ?
আঁজ্ঞে; সে অনেক কথা, পরে পরে শোনাব, জমি-জিরেত নেই তেমন
মজুর খেটে সংসার চলে, কাজ কম্ম হলেও মজুরি তেমন দেয় না
মানুষ গুলো স্বার্থবাজ; খুঁদ দেয় মজুরি বাবদ, বাকী সব মাঙনা
অনেক বড় গুষ্টি, ভাগে জায়গা নেই, কোন রকমে একটা ঘরের মতন
তাইতো, বলাইদের কথা শুনে এইখেনে এলুম, খেটে খাব যখন
ভয় থাকলে গরীবের চলে ! দুটো হাতই ভরসা কেবল, কপাল এমন
চাষবাস, মজুরের কাজ সব জানি, অসুবিধে হবে না তেমন।  



সোনারপুর
১০.০৬.২০২০