অন্ধ বধির হয়ে কাটাবে আর কত কাল
একবার অন্তত চোখ খোল প্রভু
আকারে বা নিরাকারে জড় সম থাকবে শুধু,
দুনিয়া জুড়ে সংকটের পদধ্বনি, বাতাসে অমঙ্গল
শুনতে পাচ্ছ না আর্তের কান্নার রোল
দেখাও আলো ছিন্ন কর এ ঘোর সংকট জাল।
তোমার নামে তুঘলকি চালিয়ে যত অসাধু সেবক ষণ্ড
রেখেছে জিম্মি কোটি কোটি মানুষের দান
নানা বেশে; অছিলায় করে আত্মসাৎ; লণ্ডভণ্ড
তাদের শোনাবে না কোন ফরমান
কোটি কোটি হাতে যারা যুগ যুগান্ত ধরে
প্রণামির অর্থে তোমার ভাঁড়ার দিয়েছে ভরে
অশেষ দুর্দশায় কাঁদছে তারা ক্ষুধায় দিচ্ছে প্রাণ
কী হবে মজুত রেখে প্রণামির দান !
বিশ্বাস; ভক্তি; শ্রদ্ধার স্মরণেই, তুমি নাকি হও সন্তুষ্ট
শুনেছি এ কথা জ্ঞানী সাধু জন হতে
তবে কেন প্রণামীর ধন আগলিয়ে রাখে যত ভন্ড
কেন সে অর্থ পড়ে রয় ভন্ডের হেপাজতে
তুমি কী জানো ! আছে কত এমন দানের ভান্ড
দখল ঘিরে তার চলে অদ্ভুত সব কান্ড
কী অগাধ ভক্তি ! চোরে চোরে সব তুতো ভাই
তোমায় করছে অপবিত্র, যত শয়তানের চাঁই
শাসকও এই দলে পড়ে, চেয়ারের কথা ভেবে
দান দিলে নাকি করেতে রেহাই পাবে !
জাগো প্রভু জাগো, যদি হও সত্য সনাতন
কেড়ে নিয়ে প্রণামী ভান্ডের অগাধ ধন
দুর্দশা কর দূর নিরন্ন মানুষের; প্রফুল্ল হোক মন
প্রণামীর ধন ফিরিয়ে কর ক্ষুধার নির্বাপণ
খুলে দাও তোমার দরজা হটিয়ে ভন্ডের দল
পুণ্যের ভূমি অর্থে নয়, ভক্তিতে হোক সমতল।
সোনারপুর
০১.০৬.২০২০
( সারা বিশ্ব জুড়ে সমস্ত মন্দির, মসজিদ, গীর্জায় যে প্রভুত অর্থ, সোনা, রুপো ইত্যাদির যে দান জমে আছে তার পরিমাণ এক কথায় বলা যাবে না। এই সুবিশাল অলস ধন সম্পত্তির তিনের দুই ভাগও যদি দরিদ্র বিশ্ব মানবের কল্যাণের জন্য ব্যায় হত, তবে ঈশ্বর খুশী হতেন। কিন্তু তা বোধহয় হবার নয়। সেই ক্ষোভ থেকেই এই উপস্থাপনা)।