কাব্যতে তুই ছন্দ রাণি,
বর্ষার রূপে তোকে ঘিরে নাচে চিত্ত    
কবির কলমে তোকে চিনি  
রূপসী উর্বশী, যেথা ভাবনারা করে নৃত্য        
তবুও তুই এলে কোলে
জননী হৃদয় নীরবে ভেজে নোনা জলে।


অধীর অপেক্ষায় ছিল যারা
ঊষ্ণতা হারায়ে বিষাদ সমুদ্রে ডুবছে তারা
বাজেনা শঙ্খ তোর আগমনে
যেন বজ্রাহত শোকের ছবি ভাসে আননে
ক্রমে বজ্র কঠিন হুঙ্কার
চাই পুত্র, রাখিতে বংশ, উত্তরাধিকার।


অসুস্থ জননী পাংশু মুখে
চেয়ে রয় অপলক মমতায় এতটুকু সুখে
ভাবে কার দোষ তবে
কোন অপরাধে পুরুষ না হয়ে এলি ভবে
কি করে বাঁচাব তোরে
ক্রূর দৃষ্টি হতে, অসাম্যের ভোরে ।  


যেদিকে তাকাই, দেখি লালসার ছোবল
হিংস্রতায় হার মানে জানোয়ার
নয় কাল্পনিক ভয়, নয় কিছুই নকল
শুনি জয় হবে নাকি মানবতার
ভাবি মানুষ কোথায় ! দিকে দিকে শুধু জঞ্জাল
মানবতা দেখাবে কে, শিক্ষার কঙ্কাল !


অনুক্ষণ ভাবি, এ দুর্দিন যাবে কি ইষ্টের নাম জপে  
মালা চন্দনে ফিরবে কি চেতনা !  
যেখানে তিলক তসবি সব একাকার, শবের গন্ধ মেখে
প্রতিপদে সন্তের বেশে ঘোরে হায়না
যেখানে ধর্মের নিশানেই ভোগের উপাচার সাজানো থাকে
অভিন্ন রূপে অবতার ধরে বাহানা ।  


হায়রে সমাজ, যে ফুল ছিঁড়ে ফেলিছ বৃন্ত হতে
উন্মাদ সম নির্বোধ অচলায়তনে বসি
তোমার অস্তিত্বের জন্মদাত্রী সেই, নয় অন্য পথে
কেউ আসেনি উজানে সুজানে ভাসি
চাও কি হারিয়ে যাক প্রাণের স্পন্দন, নীলগ্রহ থেকে  
দ্যুলোক ভুলোক ঢাকুক ভুলের মসি !!  


সোনারপুর
১৫.০২.২০১৮