সুয্যি মামার ঘুম পেয়েছে শীতল হওয়ায় মেঘ মাসীদের ঘরে  
একটু জাগে আবার ঝিমোয়, দিন কতকের জাগরণের পরে
চোখ করে লাল সকাল বিকেল মামার রোষে পড়ত আগুন ঝরে    
সাধ্যি কার বাইরে থাকে, নড়ে না কেউ ঘরের কোণা ছেড়ে  
ক্লান্ত পথিক ব্যাকুল হয়ে খুঁজছে ছায়া ধারেকাছে আঁতিপাঁতি করে    
খবর গেলো সাগর নানার কাছে, বলল নানা দেখছি আমি পরে।    

একদিন যায়, দুই দিন যায়, নানার ডাকে হাজির বাদল মামা
বলল নানা এখনি যা, কয়েক দিনের জন্য হলেও সুয্যিটারে থামা
এই না শুনে ঘূর্ণি নানি বায়না ধরে আমিও যাবো, ঘুরতে বাদল সাথে
কদিন নাহয় খুব মজাসে আসব ঘুরে, না হলে তো ধরবে এবার বাতে
নানা শুনে মুচকি হেসে বলে সত্যি নাকি! ওখানে খুব পানির টানাটানি
যেতেই যদি চাও, তোমার বাওয়ের নায়ে তুলে নিও ভর্তি করে পানি।


সংকেত পেয়ে যন্ত্র ওঠে কল কলিয়ে, মাপতে বসে বাদল মামার গতি
আছে কোথায়, থাকবে কদিন, কোথায় রাখবে পা, কতটা হবে ক্ষয়ক্ষতি !  
ত্রাহি ত্রাহি রব সব মহলেই, যোগাড় রাখে শুখনো খাবার মোমের বাতি
ওষুধ পত্র, খাবার পানি, মাথা বাঁচানোর ছালা দুঃসময়ের সমাজপতি
জেলে মেছো দিন গোনে, আসতে পারে মৎস্য কন্যার অনেক নাতিপুতি    
চাষা বলে ভাদরের পানি বিনে ধানের চারার গতরে আসবেনিগো জোতি।  


    
সোনারপুর
১০/০৯/২০২২