তিথি নক্ষত্র নিয়ে নানা ভবনায় মানুষের মত বহুমুখী ধারায় বয়
পঞ্জিকাতে ও আছে গোপন বিরোধ, যদিও তা তেমন দোষের নয়    
জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে মানুষের নানাবিধ সংস্কার বা কুসংস্কারে আচ্ছন্ন মন
ব্যাক্তিগত এবং সমষ্টিগত দুটো ভাবনা আলাদা হলেও থামে না গমন
সপ্তাহের সাত দিনে আছে নানা বিধি, বিশ্বাসে ও মেলে না কোন উপায়  
বুধে নেই মানা কর্মে বা অকর্মে, বৃস্পতিতে নিষেধ কেন মানতে হয় ?


একই দেশের ভিন্ন প্রদেশে আচার বিচারে নানা মত, এমন কেন হয়  
সবাই মানুষ একই ভৌগলিক আয়তনে, কেন সকলের হিসেব এক  নয়    
দ্রব্যের অপ্রতুলতায় প্রবল প্রতাপশালী দেব দেবী ও তুষ্ট মুড়ি বা শুখা ফলে      
নিজেকে বদলে নেয় দেবতা, যখন তার অবস্থান ভিন্ন ভৌগলিক চলাচলে  
ভেবে পাইনা কূল তখন কি তিথি নক্ষত্র বার কাজে আসে না তাদের বেলায় !    
পণ্ডিতদের মতভেদে কার বা কাদের লাভ হয় ? নিশ্চয়ই সাধারণ মানুষের নয়।  


পঞ্জিকা মতে একই তিথি বা নক্ষত্রে জন্মে কেউ হয় চোর ডাকাত কেউ বা সাধু
কেউ বা অগাধ পান্ডিত্য নিয়ে বিলাসী যাপনে, কেউ বা আপসোস করে যায় শুধু
তবুও পঞ্জিকা মতে তিথি নক্ষত্রের সংস্কার মানব মন কেন মেলাতে চায় বার বার  
এর সঠিক উত্তর না পেলেও, আধুনিক মানুষ ক্ষেত্র বিশেষে বিচারে নির্বিকার
জ্যোতিষ চর্চা চলে টোলে বা আধুনিক পাঠশালায়, ফুলে ওঠে জ্যোতিষের ভান্ডার
আঙুলে আঙুলে হরেক বর্ণের ঝংকার, সত্যই কি কিছু হয় ? খোলে ভাগ্যের দ্বার !


জন্ম থেকে মৃত্যু সবটাই জানা সত্য, তবুও প্রতিনিয়ত মানুষ হিসেব মেলায়
সাধু দরবেশ থেকে জ্যোতিষী, হাজার ব্যখ্যায় ঘোরে জীবন এক অদ্ভুত নেশায়
আশার বাতাসে মেতে মন চায় জিততে মোকদ্দমা জ্যোতিষ বিধানের ফরমাশে
মহাশূন্যের দূর দুরান্তে থাকা গ্রহ নক্ষত্রের নড়ন চড়নে ভাগ্য খোলার আশে
সাংসারিক যন্ত্রনা থেকে নতুন সম্পর্ক, শত্রু মিত্র অনটন সবের সমাধান কূল    
ব্যবস্থাপত্রে নিদানের লম্বা ফিরিস্তি – কি নেই তাতে সর্প মণি থেকে বাঁশের ফুল।  
  
সোনারপুর
০৩/১১/২০২২