মানব সভ্যতার ইতিহাসে ভয় এবং ভরসার ভাবনা নতুন কিছু নয়,  
হাজার হাজার বছরের প্রবাহমান কালের অতীত খূঁড়লে সে কথাই মনে হয়  
কিছু মানুষের নিখুঁত বপনে অঙ্কুরিত হয়ে, শাখা প্রশাখায় বৃস্তিত পবিত্র ব্যাধি
সময়ের আবর্তনে চক্রবৃদ্ধি হারে গ্রাস করে মানবতার জমি, গড়েছে দুর্জয় ভিত
ধংস করেছে সুস্থ সমাজ ভাবনায় বিকশিত উন্নত  জনপদ রোম কিম্বা গ্রীস
অন্ধ বিশ্বাসের মহৎ আবেগে জ্ঞানীর মৃত্যু দন্ডে উল্লসিত হয়ে সমাজ পথিকেরা
ব্রতী হয়েছিল অদৃষ্ট পণ্যের বিপণনে, ক্রমশই বিস্তার করেছিল সে পণ্যের বাজার
মানুষকে বাধ্য করেছিল মেনে নিতে ভয়ের বাতা বরণে, রঙ লাগানো অত্যাচারে
সফল হয়েছে বিপণনের কৌশল, দিকে দিকে আজ তার নানা রঙ, নানা ভাবনা
প্রবাহিত প্রতিটি ধমনীতে, মননে, শতাব্দীর পর শতাব্দীতে, অন্ধ আবেগে, বিশ্বাসে।


একটাও প্রশ্ন আসেনা মনে ! যদি বিশ্বাসের মালিক ভালো হন, মানুষ কেন ভয় পায়
মালিক, মানুষের ভালো মন্দ সব জানেন, তবে চাহিদার কথা জানিয়ে কেন বিরক্ত করা  
যদি মালিক সর্বত্র বিরাজমান, তবে কোন প্রয়োজনে অসংখ্য উপাসনালয় গড়ে তোলা  
মালিকের নামে জমে দেদার সম্পদের পাহাড় পৃথিবী জুড়ে, কাদের প্রয়োজনে লাগে তা
শুধু পরকালে শাস্তি মকুবের কথা ভেবেই কি নৈতিকতা ? নাকি এখানেও কৌশল
বিপণনের – কার কার লাভ  হয় ! বিশ্বাসীর নাকি বিশ্বাস বিপণনে যুক্ত কৌশলীর
কোন যুদ্ধ বা মহামারীতে হয়ত প্রাণ যায়নি এত, গিয়েছে অদৃষ্টের বাজার দখলে যত      
বোঝার বোঝায় নুব্জ্য মন, গড়াতেই থাকে পেতে রাখা লাইনে, তবুও তার বাইরে না !  

সোনারপুর
১১/০৮/২০২১