ভাদর মাসের হাঁসা মেঘে, বৃষ্টি থামে না  
পুবের বাতাস ভাসায় তারে, পিছু ছাড়ে না
পিটির পিটির লেগে থাকে, গরম কমে না
ভ্যাপসা গরম ভিজে হাওয়ায় স্বস্তি মেলে না
ধানের চারা নাচিয়ে মাথা তর তরিয়ে বাড়ে
নিড়েন দিয়ে সার ছড়িয়ে চাষি আপন কর্ম সারে  
তিনটে চারা তিরিশ হলে, চাষির হাসি ঝরে
আশ্বিনেতে ধানের ক্ষেত ফুলে যাবে ভরে।


খালে বিলে শাপলা শালুক সকাল হলেই হাসে
হাঁসের ছানা প্যাঁক প্যাঁকিয়ে মায়ের সাথে ভাসে
এদিক ওদিক খাবার খেয়ে ঘরে ফিরে আসে  
মাছের পোনা খেলা করে জলে ডোবা ঘাসে
বাড়ছে ওরা তর তরিয়ে ভাদর জলে ভেসে
মেছুড়ে বেজায় খুশি; কব্জা করে মিহি জালের ফাঁসে।


ভাদর শেষে মনসা আসে গ্রামের ঘরে ঘরে
ধনী গরীব সবাই পুজে যে যার মত করে
অরন্ধনে পান্তাভাতে ভাজা ইলিশ কচু শাকের ঘণ্ট
চাষের পরে, উৎসবেতে  মেতে ওঠে বঙ্গ
সাদা কাশের রেশমি নিশান পতিত জমি জুড়ে
পদ্ম হাসে ঝিলের জলে, দিঘির বুকে; আগমনীর সুরে
ঢাকির ঘরে চলে রেওয়াজ ;  ঢ্যাম কুড় কুড় ছন্দ
বাংলা মাতে খুশির আলোয়, ভুলে সকল দ্বন্দ।  


সোনারপুর  
২৪.৮.২০১৯